সিলেটে প্রথমবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ম্যাচ হওয়ায় মাঠে গিয়ে খেলা দেখতে দর্শকদের আগ্রহ ছিল অনেক বেশি। টিকিট পেতে হাহাকার ছিল শুরু থেকেই। টিকিটের জন্য খেলোয়াড়দের কাছে অনুরোধ করেছেন স্বজন-বন্ধুরা। সিলেটের সন্তান আবু জায়েদ রাহীর কাছে সেই অনুরোধ সৃষ্টি করেছিল চাপ। যে কারণে নাকি পারফরম্যান্সেও পড়েছিল প্রভাব।
সিলেটে প্রথম ম্যাচে দুই উইকেট পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে উইকেট পাননি খুলনা টাইটানসের পেসার রাহী। ঢাকা পর্বের শুরুতেই দেখা গেল দারুণ ছন্দে। নিলেন চার উইকেট। টি-টুয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের সেরা বোলিং করে চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে এনে দিলেন জয়। এমন পারফরম্যান্স হোম ভেন্যুতে কেন দেখা যায়নি প্রশ্ন করতেই জানালেন রাহী মাঠ ও মাঠের বাইরের চাপের কথা, ‘সিলেটে হোম প্রেসার ছিল, তার উপরে টিকিটের জন্য অনেক বেশি প্রেসার ছিল হয়তো এজন্য…।’
ঘরোয়া লংগার ভার্সন ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে যাচ্ছেন রাহী। কিন্তু আলোচনায় এসেছেন খুব কম সময়ই। বিপিএলে ভাল করে সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসায় এবার যে তাকে নিয়ে আলোচনাটা অনেক বেশি হবে সেটি বুঝতে পেরে প্রকাশ করলেন অনুভূতি, ‘ভাল লাগছে। জাতীয় লিগে সত্যি পারফর্ম করি কিন্তু মিডিয়া কাভারেজ একটু কম। এখানে পারফরম্যান্স করলে মিডিয়াতে আসে, সোশ্যাল মিডিয়াতে সবাই দেখে তো ভাল লাগে।’
রাহী শুরুর দুই ওভারেই তুলে নেন তিন উইকেট। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন এই তরুণ। প্রথম তিন ওভারে ১৮ রান দিলেও শেষ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ফেলায় চার ওভারে চার উইকেটের পাশে দেখা যায় ৩৫ রান। দলের জয়ে খুশি হলেও একটু খরুচে হওয়ায় আক্ষেপ, ‘আমার মনে হয় একটু এক্সপেনসিভ। চার উইকেট ভালই। একটু খরুচে মনে হচ্ছে। ম্যাচ জিতেছি ওই হিসেবে ভাল।’