প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ হিসাবে আলাদা আলাদা প্রতিষ্ঠানের টিকা নিলে সেটা কোভিডের সুরক্ষায় বেশি কার্যকার হবে বলে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় উঠে এসেছে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাইজার বায়োএনটেক বা অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুইটি করে ডোজে কোভিড-১৯ সুরক্ষায় বেশি কাজ করার থেকে দুইটি আলাদা প্রতিষ্ঠানের টিকার সংমিশ্রণে মানুষের শরীরে কোভিডের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সবচেয়ে বেশি কার্যকারিতা পাওয়া যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই তথ্যের ফলে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের টিকার ব্যবহার আরও সহজ হবে। বিশেষ করে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এই গবেষণার ফলাফল বেশি সুফল বয়ে নিয়ে আসবে । কারণ এসব দেশকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের টিকার সংমিশ্রণ ঘটাতে হতে পারে টিকার স্বল্পতার জন্য অথবা টিকার চালানের বিলম্বিত হওয়ার কারণে।
এই গবেষণায় আরও জানা গেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও ফাইজার এর টিকা প্রথম ডোজ হিসেবে নেয়ার নয় সপ্তাহ পর যদি দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে মর্ডানার টিকা গ্রহণ করে তা একজন মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বেশি কার্যকার হবে। গবেষণায় ১০৭০ জন স্বেচ্ছাসেবীর দেহে ফাইজারের প্রথম ডোজ দেয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে মর্ডানার টিকা প্রয়োগ করার পর সেটার ফলাফল তুলে ধরা হয়েছে। দুটি ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের টিকার প্রয়োগে কোন প্রকারের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেয় বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
যুক্তরাজ্যের উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রফেসর জোনাথন ভ্যান-ট্যাম বলেছেন, ‘টিকার সংমিশ্রণ হয়তো আমাদের বুস্টার কর্মসূচিকে আরো সহজ করবে। বিশেষ করে যেসব দেশে টিকার সংকট রয়েছে অথবা তাদের টিকাদান কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করতে চান, তাদের জন্য এটি সহায়ক হবে।’
ইতোমধ্যেই বিশ্বের অনেক দেশ টিকার মিশ্র ব্যবহার শুরু করেছে। স্পেন আর জার্মানিতে যারা প্রথম ডোজ হিসেবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেয়েছেন, তাদেরকে বিশেষ করে তরুণদের দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে ফাইজার বা মর্ডানার টিকা গ্রহণের প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে।