সাম্প্রতিক সময়ে টার্কি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে খামারীদের কাছে। বেশ লাভজনক এই টার্কি পালনে আগ্রহীরা এখন থেকে ঋণ পাবে। বাংলাদেশে ক্রমেই জনপ্রিয় হওয়া টার্কি খামারিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ও পল্লী ঋণের নতুন নীতিমালায় এই পাখি পালনে ঋণ দেওয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিমালাটি প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়েছে, টার্কি পালনে উন্নত অবকাঠামো দরকার হয় না। তুলনামূলক খরচও কম। বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে খামার করে টার্কি পালনে লাভবান হচ্ছেন খামারীরা। এটি মাংসের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। তাই এ খাতে ঋণ সহায়তা দেয়া যেতে পারে।
নীতিমালায় বলা হয়, একদিন বয়সের টার্কির বাচ্চা ক্রয় করে পালনের জন্য ব্যাংকগুলো এখন থেকে ঋণ দেবে। তবে টার্কি পালনের জন্য ঋণ নিতে হলে খামারির নিজস্ব জমি থাকতে হবে এবং সেখানে শেড নির্মাণ করতে হবে। এক হাজার টার্কি পালনে ব্যাংক সর্বোচ্চ ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে পারবে।
নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে, ঋণ গ্রহীতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে নারী খামারিদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে ঋণ গ্রহীতা ৬ মাস গ্রেস পিরিয়ড পাবেন। ঋণ গ্রহীতাকে ৩৬ থেকে ৫৪ মাসের মধ্যে(গ্রেস পিরিয়ডসহ) ঋণ সমম্বয় করতে হবে। ব্যাংকের শাখাগুলো এই খাতে ঋণের তথ্য সংরক্ষণ করবে। প্রয়োজনবোধে বাংলাদেশ বা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের চাহিদা অনুযায়ী তা সরবরাহ করবে।
তবে এক হাজার টার্কির বাচ্চা পালনে অবকাঠামোগত ব্যয়ে নেওয়া এই ঋণ কৃষিঋণ হিসাবে বিবেচিত হবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই নীতিমালায়।