জার্মানির উনিশতম জাতীয় নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে টানা চতুর্থবারের মতো জার্মান চ্যান্সেলর হতে যাচ্ছেন অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল বলছে মেরকেলের ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন এবং সহযোগী ক্রিশ্চিয়ান সোশ্যাল ইউনিয়ন ৩২.৫ শতাংশ ভোট পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি পেয়েছে ২০ শতাংশ এবং ইসলাম বিরোধী দল এএফডি ১৩.৫ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ।
স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৮টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টা) ভোটকেন্দ্রগুলো খুলে দেয়া হয়। ভোটগ্রহণ চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে ৬৫টি দল অংশ নেয়।
তবে সর্বশেষ জনমত জরিপে জার্মান চ্যান্সেলর হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। নির্বাচনে বিশ্বজুড়ে ‘জার্মানির স্থিতিশীলতার উৎস’ হিসেবে পরিচিত মেরকেলের জয় প্রায় নিশ্চিত বলে মনে করা হয়।
বিবিসি জানিয়েছে, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি’র নেতা ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সাবেক সভাপতি মার্টিন শুলজ। আর সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি ২২.১ শতাংশ ভোট পেতে পারে বলে ধারণা করা হলেও পেয়েছে ২০ শতাংশ ভোট।
জার্মান পার্লামেন্টের ৫৯৮ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে সরাসরি নির্বাচন হয় আাজ। আর বাকি ২৯৯ আসনে দলীয় ভোটপ্রাপ্তির শতাংশের হিসাব অনুযায়ী বিভিন্ন দলের তৈরি করা প্রার্থী তালিকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন।
এবারের নির্বাচনে জার্মানিতে বসবাসরত প্রায় ১০ লাখ তুর্কি ভোট দিতে পারে। তাদের অধিকাংশই এপ্রিলে তুরস্কের গণভোটে এরদোগানকে সমর্থন দিয়েছিল।
তাদের উদ্দেশে আগস্টে এক ভাষণে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছিলেন, জার্মানির ক্ষমতাসীন রাজনীতিকরা তুরস্কের শত্রু। এই নেতারা জার্মান-তুর্কি ভোটারদের কাছে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার যোগ্য। তিনি সেসব দলের প্রার্থীদেরই বুঝে শুনে ভোট দিতে বলেন। যে দলগুলো তুরস্কের সঙ্গে কোনোরকম শত্রুতায় জড়িত নয়।