টাঙ্গাইলে বেশিরভাগ সিএনজিচালিত অটোরিক্সার রেজিস্ট্রেশন নেই । এর ফলে অদক্ষ চালকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে । অনেকদিন ধরেই রেজিস্ট্রেশন দেওয়া বন্ধ থাকার পর নতুন করে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া শুরু হয়েছে। তবে চালক ও মালিকদের মধ্যে তা সংগ্রহে অনীহা লক্ষ্য করা যায়।
টাঙ্গাইলে দেড় হাজার সিএনজিচালিত অটোরিক্সার রেজিস্ট্রেশন রয়েছে। কিন্তু রাস্তায় চলছে প্রায় ২০ হাজার। এক সময় বিআরটিএ অফিসে দিনের পর দিন ঘুরেও রেজিস্ট্রেশন করতে পারেনি অনেক মালিক। আর এখন দুই হাজার রেজিস্ট্রেশন দেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও সাড়া নেই মালিক-চালকদের। রেজিস্ট্রেশন না থাকায় দুর্ঘটনার পাশাপাশি প্রায়ই ঘটছে চালককে হত্যা করে অটোরিক্সা ছিনতাইয়ের ঘটনা।
কয়েকজন সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালকের সাথে কথা বললে রেজিস্ট্রশন করতে অতিরিক্ত টাকা দাবি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা। যেখানে কাগজ করতে ১২-১৪ হাজার লাগে, সেখানে ত্রিশ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। সমস্ত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন টাঙ্গাইল থেকে দিলে সবাই একত্রে চলতে পারতাম বলে উল্লেখ করেন একজন অটোরিক্সা চালক।
গত জানুয়ারিতে পরিবহণ সংক্রান্ত মাসিক সভায় আরও ২ হাজার অটোরিক্সার রেজিস্ট্রেশন দেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও রেজিস্ট্রেশনে সাড়া নেই কারো।
জেলার বিআরটি’র সহকারি পরিচালক মোঃ নূরুল ইসলাম এ ব্যপারে বলেন, চালকদের জানানোর জন্য টেলিভিশনে, পেপারে প্রচার করা হয়েছে, সারা জেলায় মাইকিং করা হয়েছে।
যারা এই আইনের আওতায় না আসবে তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত শুরু করা হয়েছে উল্লেখ করে নূরুল ইসলাম বলেন, পরে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবৈধ অটোরিক্সা ও চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মোঃ মাহবুব হোসেন বলেন, আমাদের বাধ্য হয়ে ভ্রাম্যমান আদালতে বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। যাতে দূঘর্টনা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সিএনজি বা ব্যাটারিচালিত যান চলতে দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
টাঙ্গাইলে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার অটোরিক্সার রেজিস্ট্রেশন না থাকায় সরকার প্রতি বছর কয়েক কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এ ব্যাপারে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেছে সংশ্লিষ্টরা।