টাঙ্গাইলের প্রত্যন্ত গ্রামে প্রতিবারের মতো এবারও বাংলা নববর্ষ বরণে ‘কৃষক মিলন মেলা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের গারোবাজারের শালিয়াবহ গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজের ব্যতিক্রমী এ ধারাবাহিক আয়োজনে উচ্ছ্বসিত এলাকার কৃষকরা।
কৃষক আব্দুল আজিজ তার বাড়িতে গত ১৪ বছর ধরে পহেলা বৈশাখে ‘কৃষক মিলন মেলা’ আয়োজন করে আসছেন। কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ এ আয়োজনে অংশ নিয়ে থাকেন। পান্তা-কাঁঠালের আপ্যায়নের সঙ্গে একটি করে গাছের চারা উপহার পান অংশ নেওয়া সবাই।
কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন, ‘আমাদের আশা হলো কৃষকের মিলন মেলার মাধ্যমে আমরা মাছ, পাখি, প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে রাখব। বাঁচিয়ে রাখব মাতৃত্বের বন্ধনকে।’
কৃষি ও প্রকৃতি সুরক্ষার জ্ঞান সব মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে গোটা জেলায় সাড়া ফেলা কৃষক আজিজের এই আয়োজনে অংশ নেন বিশিষ্টজনেরাও।
এই উৎসবে উপস্থিত আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ও বাঙ্গালির ঐতিহ্যিই হল গ্রাম। গ্রামের পহেলা বৈশাখ হলো অকৃত্রিম। তাই শহর থেকে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে গ্রামে এসেছি।
এবার মেলায় ছিল আবহমান বাংলার খেলাধুলা, মেলা এবং সাংস্কৃতিক আয়োজন। প্রকৃতি, মাটি আর মানুষকে ভালবাসেন আব্দুল আজিজ। বিত্ত ও ধন সম্পদের পাহাড় গড়ার ভাবনা নেই তার মাঝে। সারা জীবন থাকতে চান সাধারণ মানুষ হিসেবে। শালিয়াবহ গ্রামের এ বৈশাখী মিলনমেলা যুগ যুগ টিকে থাকুক, এমন প্রত্যাশা সবার।