চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

টাঙ্গাইলে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬

টাঙ্গাইলে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত হয়েছে। আর এতে আহত হয়েছেন অন্তপক্ষে পাঁচজন।

বুধবার ভোর রাত থেকে সকালের বিভিন্ন সময়ে জেলার সদরের আশিকপুর, মির্জাপুরের পাকুল্যা ও ঘাটাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তারা।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুরের পাকুল্যায় ঢাকাগামী একটি বিকল কাভার্ড ভ্যানকে একটি মাইক্রোবাস ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই চালকসহ তিনজন নিহত হয়। আহত হয় আরও একজন।

নিহতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার সাংনুরপুরের মাইক্রোবাস চালক হাসান মিয়া (২৮), জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের গোলাম মওলা শামীম (২৮) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইমন মিয়া (২৫)। নিহত গোলাম মওলার স্ত্রী মীম আক্তার (২৫) কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকুল্যা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকাগামী একটি কাভার্ডভ্যান বিকল হয়ে পড়ে। বুধবার ভোরে ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ওই কাভার্ডভ্যানের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসের চালকসহ ৩ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত অবস্থায় ১ জনকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে, বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে টাঙ্গাইল সদরের আশিকপুর বাইপাস এলাকায় দুই সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই জন নিহত ও চারজন আহত হয়েছে। নিহত দুইজ‌নের ম‌ধ্যে একজ‌ন ভূঞাপুরের রামপুর গ্রামের মতিউর রহমান (৩৮) অপরজনের নাম জানা যায়নি।

ফায়ারসার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহাসড়ক থে‌কে টাঙ্গাইল শহরের দিকে আসার সময় আশেকপুর এলাকায় একটি মোটরসাইকেলকে সাইড দিতে গিয়ে অপর সিএনজি চালিত অটোরিকশার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় ৬ জন। এরমধ্যে ঘটনাস্থলে একজন ও হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়।
আহত চারজনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ মো. নবীন জানান, সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় একজনের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে তা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এছাড়া জেলার ঘাটাইলের হামিদপুর ট্রাকের চাপায় অজ্ঞাত এক পথচারী নিহত হয়েছে ।

এ বিষয়ে জেলা ট্রাফিকের শীর্ষকর্তা আহসান হাবীব চৌধুরী বলেন, রাস্তা ফাঁকা সুযোগ নিয়ে কিছু চালক অমনোযোগী হয়ে অনিয়ন্ত্রিত গতিতে গাড়ি চালনা করার ফলেই দুর্ঘটনার সংখ্যা ও প্রাণহানীর ঘটনা বাড়ছে।