টাঙ্গাইল সদর ও মধুপুরে প্ল্যান্ট ডক্টর ক্লিনিক পরীক্ষামূলকভাবে গাছ ও ফসলের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে। কমনওয়েলথ-এর সহায়তায় বিশ্বের ৩৩ টি দেশের মতো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে গড়ে তোলা হয়েছে গাছ ও ফসলের চিকিসা কেন্দ্র। যা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে কৃষকদের মধ্যে।
টাঙ্গাইল সদর ও মধুপুরে স্থাপিত প্ল্যান্ট ডক্টর ক্লিনিকে সপ্তাহের নির্ধারিত দিনে অসংখ্য কৃষক ভিড় করছেন গাছ-গাছালি ও ফসলের সমস্যা নিয়ে। সমস্যার সমাধান পেয়েও যাচ্ছেন দ্রুত। ইউনিয়নের একটি নির্দিষ্ট স্থানে বসে কৃষি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ফসল বা গাছের রোগ নির্ণয় করে প্রেসক্রিপশন দিচ্ছেন।
কৃষকরা তাদের ফসলের সমস্যার কথা বলতে গিয়ে জানান, আমার গাছের পেয়ারার নিচের দিকটা ফেটে যাচ্ছে। তার পরপরই তা নষ্ট হচ্ছে। অন্য দিকে আরেকজন এসেছেন আখের সমস্যা নিয়ে। প্রত্যেককেই সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ দেখান ডাক্তার।
প্ল্যান্ট ডক্টর ক্লিনিকের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, ফসল ও ফলমূলের জন্য এ ধরনের ক্লিনিক অত্যন্ত কার্যকর। কেননা এর আগে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা থাকলেও তাদের পক্ষে কৃষকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরামর্শ দেয়া সম্ভব ছিলো না।
প্ল্যান্ট ডক্টর ক্লিনিকের চিকিৎসক আবদুল জলিল মোল্লা জনান, আমাদের এখানে যখন কেউ প্রথমে আসেন আমরা চেষ্টা করি যেন কীটনাশক ব্যবহার না করে ফসলের রোগ নিরাময় করা যায়। শেষ পর্যন্ত যখন সম্ভব না হয় তখন সঠিক মাত্রায় বালাই নাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছি।
পরীক্ষামূলকভাবে টাঙ্গাইলের দুই উপজেলায় এই কার্যক্রম চালু করায় ব্যাপক উপকৃত হচ্ছেন কৃষক।
টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল হাশিম মনে করছেন ডাক্তাররা চোখে দেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন এতে করে কৃষক উপকৃত হচ্ছেন।
সারাদেশের প্রতিটি ইউনিয়নে এই কার্যক্রম চালু করতে পারলে কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।