টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় কালিহাতী থানায় ৩ শতাধিক ও ঘাটাইল থানায় ৪ শতাধিক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামী করে আলাদা দুটি মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা দু’টি দায়ের করে। এর আগে ওই ঘটনায় কালিহাতী থানার ৪ পুলিশ ও ঘাটাইল থানায় ৩ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শনিবার রাত ১০টার দিকে তাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয় সরকার জানিয়েছেন, দায়িত্বে অবহেলার কারণে তাদেরকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে আনা হয়েছে। প্রত্যাহার করা পুলিশ সদস্যরা হলেন কালিহাতী থানার এসআই বাশার, সলিম উদ্দিন, কনষ্টবল আমিনুল ও জিয়াউল হক এবং ঘাটাইল থানার এসআই মন্টু মিয়া, কনষ্টবল লিয়াকত হোসেন ও হারুন-অর-রশিদ।
মা ও ছেলেকে বিবস্ত্র করে লাঞ্চিত করার ঘটনায় নির্যাতনকারির বিচার চেয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ঘাটাইল ও কালিহাতী উপজেলার বিক্ষুব্ধ জনতা। বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শটগানের গুলি চালায়। নিহত হয় ৩ জন। নিহতরা হলেন ঘাটাইল উপজেলার কালিয়া গ্রামের আলহাজের ছেলে শামীম (৩৫), কালিহাতী উপজেলার সাতুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা ফারুক হোসেন (৩২) ও একই উপজেলার সলঙ্গা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে শ্যামল চন্দ্র দাস।
গুলিবিদ্ধ ৬ জনসহ মোট ২৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।