প্রতিবারের মতো এবারও টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল শালিয়াবহ গ্রামে বাংলা বর্ষবরণ উদযাপিত হলো ভিন্ন আমেজে। সেখানে বসেছিল কৃষক আর কৃষাণীর মিলন মেলা। দূর-দূরান্তের হাজার হাজার মানুষ চাষা আব্দুল আজিজের ওই বৈশাখী উৎসবে গিয়ে আপ্যায়িত হয়েছেন, থেকে নিয়ে ফিরেছেন ভালোবাসার উপহার।
প্রকৃতিপ্রেমী কৃষক আব্দুল আজিজ তার বাড়িতে ১৮ বছর ধরে পহেলা বৈশাখে আয়োজন করে আসছেন কৃষক মিলন মেলার। প্রতি বছরই বাড়ছে এই মেলার পরিধি। সর্বস্তরের কৃষক থেকে শুরু করে, দূর দূরান্তের সুধী, কৃষি শ্রমিক এমনকি স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও একটি দিনের জন্য অতিথি হন চাষা আজিজের। আপ্যায়িত হন পান্তা-কাঁঠাল-সবজি আর খিচুড়িতে। যাওয়ার সময় উপহার হিসেবে নিয়ে যান একটি করে গাছের চারা।
ব্যতিক্রম এই বৈশাখী আয়োজনে আসেন বিশিষ্টজনেরাও।
মেলায় ছিল আবহমান বাংলার জারি, গম্ভিরা, খেলাধুলাসহ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার আয়োজন। বসেছিল, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মেলা। মূল উদ্যোক্তা চাষা আজিজ বলেন, মাটি আর মানুষের সাথে মিশে থাকতেই তার এই প্রয়াস।
শালিয়াবহ গ্রামের এই বৈশাখী মিলনমেলা যুগ যুগ ধরে টিকে থাক, এই প্রত্যাশা সবার।
প্রকৃতি, মাটি আর মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চান তিনি। কোন বিলাসিতা তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। তার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় একদিন এই দেশ ভরে যাবে সবুজ শ্যামলে। এমনটাই প্রত্যাশা মাটির বিজ্ঞানী চাষা আব্দুল আজিজের।
দেখুন নিচের ভিডিও রিপোর্টে: