চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

জয়ের বিষয়ে নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না: ডোনাল্ড ট্রাম্প

জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দুই প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন। ট্রাম্প বলেছেন: তার নির্বাচনে হারাটা যতটা কঠিন, জয় লাভ তার চেয়ে বেশি সহজ। ভার্জিনিয়ায় নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত স্টাফদের ধন্যবাদ জানিয়ে ট্রাম্প বলেন: আমরা জয়ের ব্যাপারে অনেক বেশি আশাবাদী। তবে যেহেতু এটা রাজনীতি, তাই নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।

এদিকে ভার্জিনিয়ায় প্রচারনা হেডকোয়ার্টার ভ্রমণ করেছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে ডেমোক্রেট প্রার্থী বাইডেন নির্বাচনী সকাল শুরু করেছেন চার্চ পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে। দুজনই আগাম ভোট দেওয়ায় নির্বাচনের দিনে তাদের আর ভোটকেন্দ্রে যেতে হয়নি।

ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন নিজ বাড়ির পাশে চার্চ পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনি দিন শুরু করেন। পরে তার শৈশবকালে বেড়ে ওঠা পেনসিলভেনিয়ার বাড়িতে ভ্রমণ করেন। পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন বাইডেন।

আমেরিকার ইতিহাসে এবার সবচেয়ে বেশি মানুষ ভোট দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এদিকে বাইডেনের রানিংমেট কমালা হ্যারিস মিশিগান ভ্রমণ করেছেন। দিনের অধিকাংশ সময়ই তিনি মিশিগানে কাটান। কমালা বলেন, সম্ভবত মিশিগান এই প্রতিযোগিতার ফলাফল নির্ধারণ করবে।

এবারের নির্বাচনের ফলাফলের জন্য ট্রাম্প ও মাইক পেন্স হোয়াইট হাউজে এবং জো বাইডেন অপেক্ষা করবেন তার ডেলাওয়ারের উইলমিংটনের বাসায়।

সময়ের ভিন্নতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ভিন্ন সময়ে ভোটকেন্দ্রগুলো খোলা হয়। ঐতিহ্য মেনে নিউ হ্যাম্পশায়ার রাজ্যের ডিক্সভিল নচ শহরের একটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ ও গণনা শেষ হয়েছে। এর একটিতে সব ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন বাইডেন। অন্যটিতে ১৬-৫ ভোটে জিতেছেন ট্রাম্প।

ভোটগ্রহণ চলছে ভেরমোন্টের, কানেকটিকাট, ইন্ডিয়ানা, কেনটাকি, মাইন, নিউ জার্সি, নিউইয়র্ক, ভার্জিনিয়া, ডেলাওয়ার, ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, ইলিনয়, লুইজিয়ানা, মিশিগান, মিসৌরি, পেনসিলভানিয়া, রোড আইল্যান্ড, সাউথ ক্যারোলিনা, ক্যালিফোর্নিয়া, আইডাহো এবং নেভাডায়। সবশেষ ভোটগ্রহণ হবে হাওয়াই অঙ্গরাজ্যে।

তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার মার্কিন নির্বাচনের চিত্র অন্যরকম। নির্বাচনে জনস্বাস্থ্যই প্রধান ইস্যু। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে এরই মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রায় ১ কোটি, মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৩৭ হাজার মানুষের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগ আছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। সঙ্গে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের বিষয়ে ট্রাম্পের প্রশংসাও আছে।