নটিংহ্যাম থেকে: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে ক্রিকেটারদের ‘ধরাবাধা’ অনুশীলন রাখেনি বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। তারপরও ট্রেন্ট ব্রিজ কাউন্টি গ্রাউন্ডে চলল পুরোদমে প্রস্তুতি। তামিম ইকবাল ছাড়া হাজির সব টাইগার। ঐচ্ছিক অনুশীলনে সাকিব আল হাসানকে দেখে তো সবার চক্ষু ছানাবড়া! কারও কারও তো বিশ্বাসই হচ্ছিল না সাকিব মাঠে এসেছেন!
মাঠে থেকে যারা বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়মিত অনুসরণ করেন, তাদের কাছে ধাক্কা লাগার মতোই ব্যাপার। ঐচ্ছিক অনুশীলনেও সাকিবের সরব উপস্থিতি-এমনটা দেখা যায় যে কালেভদ্রে!
বিশ্বকাপে যেমন ব্যাটিং-বোলিং করছেন তাতে নির্ভার হয়ে দিনটি বিশ্রামেই কাটাতে পারতেন সাকিব। দিতে পারতেন পরিবারকে সঙ্গ। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের মাঠের সঙ্গে এই সখ্যতা আর মনোভাব বলে দেয় পুরো দলের মনের ভাষাই, অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে কতটা মরিয়া বাংলাদেশ।
২০ ওয়ানডে খেলে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো গেছে মাত্র একবার। ১৪ বছর আগে কার্ডিফে অজি-বধের যে ঐতিহাসিক গল্প লিখেছিল বাংলাদেশ, সে দলের একমাত্র প্রতিনিধি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। সাকিব-তামিম-মুশফিকদের অভিষেক হয়নি তখনও। টিভি পর্দায় দেখেছেন মোহাম্মদ আশরাফুলের সেঞ্চুরি। ভেসেছেন আনন্দের বন্যায়।
আরেকবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের মাটিতে লড়াইয়ের আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফীর সংবাদ সম্মেলনে বারবার ফিরে এল- রিকি পন্টিং, অ্যাডাম গিলক্রিস্টদের বিপক্ষে সেই জয়টির অলিগলি। এক বিদেশি সাংবাদিকের প্রশ্ন সেই জয়টি ধরেই কি বদলে গেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট?
‘হ্যাঁ, অনেক আগের কথা বলছেন, ১৪ বছর, এবং সেটি এই দেশেই। আমি মনে করি সেই জয় আমাদের অনেক বদলেছে। আমি জানি আমাদের অনেক খেলোয়াড়ই মনে করে আমরা যে কাউকে হারাতে পারি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়াকে হারানো সহজ হবে না। আমি খেলোয়াড়দের বলেছি বিশ্বাস রাখতে। বিশেষ করে আমরা যদি ভালো শুরু করতে পারি। জানি না কী হবে, তবে আমরা লড়াই করব।’