রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ে টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশকে সেরা জয় এনে দিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। রকেট বাংলাদেশ ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ জুড়েই মিরাজ ঘূর্ণিতে কাবু ছিলো টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের চতুর্থ দল ইংল্যান্ডের জাঁদরেল ব্যাটসম্যানরা।
অভিষেক ম্যাচে দেশের হয়ে দ্বিতীয় সেরা বোলিং, দুই ম্যাচের সিরিজে দেশের হয়ে সর্বাধিক উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়া এই অফস্পিনিং অলরাউন্ডার জিতেছেন ম্যাচ ও সিরিজ সেরার স্বীকৃতি।
এলাম, দেখলাম জয় করলাম। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের টেস্ট আঙ্গিনায় পা রাখাটা এমনই রাজসিক।
চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে প্রথম দিনই পাঁচ উইকেট তুলে আগমন বার্তা জানিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। পরের ইনিংসে আরো এক উইকেট। আর ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেটসহ দুই ইনিংসে নিয়েছেন ১২ উইকেট।
সিরিজ বাঁচানোর ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক ১৯ বছর বয়সী মিরাজ। প্রথম ইনিংসে ৮২ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৭ রান খরচায় সব মিলিয়ে ১৬৯ রানে উইকেট শিকার এক ডজন।
চা বিরতির পর দিনের শেষ সেশনের শুরুতেই আঘাত হানেন মেহেদী মিরাজ। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই বেন ডাকেটকে আউট করে বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রো এনে দেন মিরাজ। এরপর একে একে তুলে নেন অ্যালিস্টার কুক, গ্যারি ব্যালান্স, মঈন আলী, বেইস্টো এবং ফ্লিনের উইকেট।
মিরাজের ঘূর্ণিতেই দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ড শেষ ৬৪ রানে ১০ উকেট হারায়। দুই ঘণ্টাও টিকতে পারেনি তারা। টেস্টের তৃতীয় দিনেই গুটিয়ে যায় ১৬৪ রানে।
এতোদিন বাংলাদেশের পক্ষে টেস্ট ম্যাচে ১২ উইকেট শিকারের একক মালিক ছিলেন বাঁ-হাতি স্পিনার এনামুল জুনিয়র। ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১২ উইকেট নিয়েছিলেন দুশো রান খরচায় ।
এবার সেই রেকর্ডে ভাগ বসালেন মেহেদি মিরাজ। তবে এনামুলকে পেছনে ফেলে টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগার এখন তার– ১৬৯ রানে ১২ উইকেট।
সঙ্গে দুই ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বাধিক উইকেট শিকারের রেকর্ডও গড়েছেন মিরাজ। ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এনামুল এবং ২০১৪ সালে একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সাকিব দুই ম্যাচের সিরিজে ১৮টি করে উইকেট নিয়েছিলেন। ইংল্যান্ডের সঙ্গে সিরিজে ১৯ উইকেট নিয়ে মিরাজ রেকর্ডটা নিজের করে নিয়েছেন।
এই দূর্দান্ত পারফরম্যান্সই মেহেদি হাসান মিরাজকে এনে দিয়েছে ম্যাচ আর সিরিজ সেরা পারফরমারের সর্বসম্মত স্বীকৃতি।