ভালোবাসার জন্য মানুষ কতো কিছুই না করে। ভালোবাসা প্রমাণ দেয়ার জন্য সম্রাট শাহজান প্রিয়তমা মমতাজের জন্য গড়েছেন ভালোবাসার অপূর্ব নিদর্শন তাজমহল। সম্রাট না হয়েও নিদারুন অর্থ কষ্টে থেকেও কেউ কেউ ভালোবেসে হয়ে উঠতে পারেন অনন্য এক উদাহারণ। তেমনিই একজন টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার কেদারপুর এলাকার কাঠ মিস্ত্রী হারুন।
বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ভালোবেসে সুনিপুণ কারুকাজে তার জন্য ভালোবাসার নিদর্শন স্বরূপ সাড়ে তিন বছরের চেষ্টায় সাড়ে পাঁচলাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি করেছেন একটি নৌকা খাট।
পেশায় কাঠ মিস্ত্রী হারুন। জন্মসূত্রে মাদারীপুরের সিরাজচর এলাকার মৃত ছামেদ মাতাব্বরের ছেলে। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বসবাস করছেন টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায়।
স্ত্রী, তিন ছেলে নিয়ে হারুনের সংসার। সংসারে তিনিই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। কেদারপুর বাজারের এক ফার্নিচারে দোকানে দৈনিক ৩৫০ টাকা মজুরিতে কাজ করেন। তা দিয়েই চলে তার সংসার।
নিত্যদিনের নূন্যতম চাহিদা যেখানে অধরা সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার নিদর্শন স্বরূপ তার দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে ভালোবেসে সুনিপুণ কারুকাজে তিন বছরের চেষ্টায় সাড়ে পাঁচলাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি করছেন একটি নৌকা খাট।
আর এ সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার সিংহ ভাগই ধার-দেনা করে সংগ্রহ করতে হয়েছে তাকে। তাজমহলের মতো পৃথিবীর নানা প্রান্তের লাখো মানুষ ভীড় না জমালেও টাঙ্গাইলে নানা প্রান্তের শতশত মানুষ হারুনের ভালবাসার নৌকা খাটকে একনজর দেখার জন্য ভীড় জমাচ্ছেন। এখানেই তার ভালোবাসার সার্থকতা।
ভালোবাসার প্রমাণ স্বরূপ সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার খাট দেখতে দূরদূরান্তের মানুষ দেখতে আসছেন দেখতে আসা এলাকার মানুষরা মন্তব্য করছেন, আগের যুগের রাজা-রাণীরা এমন খাট ব্যবহার করতো।
আমরা এ খাটটি তৈরীর খবর শুনে দেখতে এসেছি। দেখে সত্যিই ভালো লাগছে। এর আগে এমন খাট কোনোদিনও দেখিনি।