কলকাতার মেধাবী নির্মাতা প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য। এরআগে তিনি ‘বাকিটা ব্যক্তিগত’র মতো আলোচিত ছবি নির্মাণ করে রাখঢাক ফেলে দিয়েছিলেন। তার বেশ কয়েক বছর পর এবার তিনি নির্মাণ করলেন ‘রাজলক্ষ্মী-শ্রীকান্ত’ নামের একটি ছবি।
যে ছবির মধ্য দিয়ে প্রথমবার টলিউডের ছবিতে অভিনয় করলেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। তো স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে, কীভাবে প্রদীপ্ত‘র ছবিতে কাজ পেলেন জ্যোতি, আর ভাগিয়ে নিলেন ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রটি?
এরইমধ্যে গত ২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘রাজলক্ষ্মী-শ্রীকান্ত’ ছবিটি। দারুণ প্রশংসা চারদিকে। অনেকে বলছেন নির্মাণে ‘বাকিটা ব্যক্তিগত’র চেয়ে কোনো অংশে কম নয় ছবিটি।
তবে একজন বাংলাদেশী অভিনেত্রী হয়ে টলিউডে জ্যোতির অভিষেকের যাত্রাটা কেমন ছিল? এমন প্রশ্নই টাইমস অব ইন্ডিয়ার তরফ থেকে সম্প্রতি করা হয়েছিলো জ্যোতিকে।
সেই সাক্ষাৎকারে জ্যোতি জানান ‘রাজলক্ষ্মী’ চরিত্রে তার অভিনয়ের আদ্যোপান্ত। সাক্ষাতকারে তিনি জানান যে: তখন সালটা ২০১৫ ছিল, যখন আমি প্রথমবার একটি শর্টফিল্মে কাজ করার জন্য কলকাতা গিয়েছিলাম। এরআগে যদিও কলকাতায় ফেস্টিভালে আমার অভিনীত দুটি ছবির প্রদর্শন হয়েছিল। তো কাজটি করার জন্য আমরা সেসময় সত্যজিৎ রায় ফিল্ম এবং টেলিভিশন ইনস্টিটিউট-এর গেস্টহাউজে ছিলাম। সেখানে থাকার সময় এক রাতে আমাদের এক ধরণের খাবার দেওয়া হয়েছিল, যা ছিল হুবহু পুরান ঢাকার খাবারের মত। খাবারগুলো সত্যিই অবিশ্বাস্য মজাদার ছিল। ফলে আমরা পরদিনই সেই খাবারের খোঁজ করতে কলকাতার সেই স্থানে যাই এবং সেই দোকানের মালিকের সাথে পরিচিত হই। যার নাম ছিল সুজয় নাগ। যিনি ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা সঞ্জয় নাগের ভাই। সেসময় তার সাথে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এবং আমার মনে আছে আমি তাকে বলেছিলাম আমি কলকাতার ছবিতে কাজ করতে চাই। তখন তিনি আমাকে জানান প্রদীপ্ত দাদার (রাজলক্ষ্মী-শ্রীকান্ত’র নির্মাতা) কথা। এর ঠিক কয়েক সপ্তাহ পরেই বাংলাদেশি ফিল্ম ফেস্টিভালে আমার প্রদীপ্ত দাদার সঙ্গে দেখা হয়। তিনি আমাকে ‘রাজলক্ষ্মী-শ্রীকান্ত’ এর চিত্রনাট্যের কথা জানান এবং রাজলক্ষী চরিত্রটির জন্য প্রস্তাব দেন। এভাবেই মূলত আমার টলিউডের যাত্রা শুরু।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘রাজলক্ষ্মী-শ্রীকান্ত’ সিনেমাটিতে রাজলক্ষ্মী’র ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জ্যোতিকা জ্যোতি। তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন কলকাতার তারকা অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী।