জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সুমন মাহমুদ (৭০) আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর আসগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
সুমন মাহমুদ দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। ২০০৬ সালে তার বাইপাস সার্জারি হয়।
সুমন মাহমুদ দীর্ঘদিন ভোরের কাগজের বার্তা সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ভোরের কাগজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক দেব দুলাল মিত্র চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘সুমন মাহমুদ আমাদের আমাদের সাবেক সহকর্মী ছিলেন। ২০০৫-০৬ সালে হার্টের সমস্যার দরুণ তার বাইপাস সার্জারি হয়। এরপর তিনি অবসরে যান।’
‘তার সময়ে তিনি সেরা সাংবাদিকদের একজন ছিলেন। তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
সাংবাদিক সুমন মাহমুদ ভোরের কাগজ, এটিএন বাংলা, এনটিভিসহ দেশের বেশ কয়েকটি প্রথম সারির গণমাধ্যমে কাজ করেছেন।
তিনি স্ত্রীএক পুত্র ও এক কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সুমন মাহমুদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার।
এক শোকবার্তায় সাবেক জাসদ নেতা, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাংবাদিক সুমন মাহমুদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও স্বজনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করে তারা বলেন: ৬০ দশকে ছাত্রলীগের নেতা হিসাবে সুমন মাহমুদ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, বিএলএফ-এর সদস্য হিসাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন, জাসদের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জাসদের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং ১৯৭৯-৮১ সালে জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি সক্রিয় দলীয় রাজনীতি ছেড়ে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করেন।