৭২ আসামীর মধ্যে ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়ে দোহারের জোড়া খুন মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। ওই ১০ জনের মধ্যে মারাগেছে ৪ জন, আর পলাতক রয়েছে ৫ জন। দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামীর মধ্যে আদালতে হাজির ছিলেন মাত্র ১জন।
জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ১৯৮৮ সালের ২২ নভেম্বর ঢাকার দোহার থানার মুকসেদপুরে খুন হন রাজা সিকদার ও মমিন সিকদার। ওই ঘটনায় ১৯৯৩ সালে ৭২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
তবে মামলা চলাকালীন মারা যান ২৪ জন। বাকী ৪৮ আসামীর মধ্যে রায়ের দিন কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন মাত্র ১৬ জন। তাদের মধ্যে সালাম জংগি নামে একজন শুধু দন্ড পেয়েছেন। বাকিরা খালাস পেয়ে বেরিয়ে যান। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে আসামীপক্ষ।
আসামীপক্ষের আইনজীবী খন্দকার ছিদ্দিকুর রহমান জানান, দীর্ঘসূত্রিতায় বিচারের আগেই আসামীদের অর্ধেকের বেশি মারা গেছেন। কোর্ট বদলি হওয়ায় এই দেরী বলে মনে করেন তিনি।
মামলা নিস্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতা, আসামীদের বয়স এবং সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনায় আসামীদের মৃত্যুদন্ড দেননি আদালত। তবে মামলার দীর্ঘসূত্রিতার দায় আদালতসহ সবার বলে মন্তব্য করেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম দস্তগীর জানান, আদালত মনে করেন ১৯৮৮ সালের এই মামলায় এতোদিন বিচারকাজ চলার দায় সমগ্র বিচার প্রক্রিয়ায় জড়িত সবার।
রায়ের পর সাজা পাওয়া একমাত্র আসামী সালাম জংগিকে কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ।