ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী (সিইও) রাহুল জোহরির বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নির্যাতন অভিযোগের কোনো প্রমাণ পাননি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। তারা বলছেন, মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
গত মাসে জোহরির এক সহকর্মী ‘হ্যাশট্যাগ মি টু’র মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন। বুধবার সেই অভিযোগ থেকে তাকে মুক্তি দিল দেশটির সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বোর্ডের প্রশাসক কমিটি।
তদন্ত কমিটির প্রধান সাবেক বিচারপতি রাকেশ শর্মা বলেছেন, ‘অফিসে কিংবা অন্য কোনো জায়গায় জোহরির বিরুদ্ধে যে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাকে হেয় করার জন্য এ ধরণের মনগড়া অভিযোগ করা হয়েছে।’
এছাড়া কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বরখা সিং ও আইনজীবী ভিনা গৌড়।
প্রায় দুই বছর আগে হলিউডে ‘হ্যাশট্যাগ মি টু’ অভিযান শুরু হয়, যার জোয়ারে হলিউডের অনেক ব্যক্তির মুখোশ খুলেছে। তবে সে সময় ভারতে এ ক্যাম্পেইনে সেভাবে সাড়া পাওয়া যায়নি। গত কয়েক মাসে ভারতে নতুন করে বিষয়টি আলোচনার ঝড় তুলেছে।
জোহরির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সাবেক এক নারী সহকর্মীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান তিনি। সেদিন তার স্ত্রী বাইরে ছিলেন। ওই নারী সেই সময় নতুন চাকরি খুঁজছিলেন। নিজের প্রতিষ্ঠানে জোহরি তাকে ভালো বেতনের কাজ দিয়েছিলেন। বাড়িতে নিয়ে সেদিন জোর করে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন।
জহরি ওই সময় ভারতীয় বোর্ডে চাকরি করতেন না। ডিসকভারি চ্যানেলে একজিকিউটিভ ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং জেনারেল ম্যানেজার ছিলেন।
অভিযোগ ওঠার পর গত মাসের ২৫ তারিখে তদন্ত কমিটি গঠন করে ১৫ দিনের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। তবে এদিন তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ না করে রিপোর্টটি পড়তে আরও কিছু দিন সময় চেয়েছিলেন সিওএ কমিটির সদস্য ডায়না এডুলজি। কাউন্সিলিংসহ আরও কিছু বিষয় সুপারিশ করে সরাসরি জোহরির পদত্যাগ চেয়েছেন তিনি।