ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির পাল্টা জবাবে এবার একে ‘ফিলিস্তিনের চিরস্থায়ী রাজধানী’র স্বীকৃতি দিয়েছে ইরান।
জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের স্থায়ী রাজধানীর স্বীকৃতি দিতেই বুধবার ইরানের পার্লামেন্টে ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়। সেই ভোটে এ নিয়ে পার্লামেন্টে একটি আইনি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন আইনপ্রণেতারা।
জেরুজালেম পোস্ট জানায়, ওই প্রস্তাবে ২৯০ আইনপ্রণেতার মধ্যে জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী ঘোষণার পক্ষে ভোট দেন ২০৭ জন।
পার্লামেন্টে ভাষণে স্পিকার আলি লারিজানি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রতিক্রিয়ায় ইরান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ফিলিস্তিন অনেক আগে থেকেই তাদের ভবিষ্যৎ স্বাধীন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে পূর্ব জেরুজালেমকে দেখে আসছে। অন্যদিকে তেল আবিবকে রাজধানী হিসেবে ব্যবহার করে দাপ্তরিক ও সরকারি কর্মকাণ্ড চালালেও সবসময় জেরুজালেমকেই রাজধানী করতে চেয়েছে ইসরায়েল।
১৯৬৭ সালে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ইরান।
গত ৬ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবারের মতো অখণ্ড জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে তিনি ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন।
এ ঘোষণার পর বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ-নিন্দার ঝড় ওঠে। প্রতিবাদে ওআইসি পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানীর স্বীকৃতি দেয়।
২১ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির মার্কিন সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের প্রস্তাব অনুমোদন করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ। ভোটাভুটিতে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় বাংলাদেশ সহ ১২৮টি দেশ। কানাডা, আর্জেন্টিনা এবং ভূটান সহ ৩৫টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে এবং যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল সহ ৯টি দেশ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেয়।
এর আগে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে উত্থাপিত একটি খসড়া প্রস্তাবের ওপর নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি হয়। এতে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের ১৪ সদস্য পক্ষে ভোট দেয়। কিন্তু একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র তাতে ভেটো দেয়।