জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বীকৃতি দেয়ার পর ক্ষুব্ধ প্যালেস্টাইনরা বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে বুধবার গভীর রাতে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বাধে। শুক্রবারও বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ থামেনি।
এদিন দখল করা পশ্চিম তীর এবং ইসরাইল-গাজা সীমান্তে সংঘর্ষ শুরু হয়। এর উত্তেজনা জেরুজালেমে ছড়িয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত এই বিক্ষোভ ও সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন এবং অন্তত দুই শতাধিক আহত হয়েছেন বলে বিবিসি জানিয়েছে। প্যালেস্টাইনের হাসপাতাল ও চিকিৎসা-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, সহিংসতায় অসংখ্য প্যালেস্টাইন আহত হয়েছেন।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত কয়েকটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, পাথর নিক্ষেপকারী বিক্ষোভকারীদের উপর ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী জলকামান ব্যবহার করছে। কোথাও কোথাও নিরাপত্তা বাহিনী রাবার বুলেট ব্যবহার করেছে। বিক্ষোভ প্রবল হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে শুক্রবার জুমার নামাজের আগে থেকেই জেরুজালেমের ওল্ড সিটিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ে করে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ।
প্যালেস্টাইন ও ইসরায়েল এই দুই দেশই জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী হিসেবে দাবি করে। দীর্ঘকাল ধরে এই শহর নিয়ে এই দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এতোদিন ‘দুই রাষ্ট্র সমাধানে’র ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়া জোরদারের বিষয়ে তাগিদ দিয়ে যাচ্ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রও এর ব্যতিক্রম ছিল না। ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি এই স্বীকৃতি দিলেন। এরপরই প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। আরব লীগ ও মুসলিম বিশ্বের পাশাপাশি এর সমর্থন দেয়নি খোদ যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমা মিত্ররাও।