২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে সফর করেছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। এরপর থেকে বন্ধ রয়েছে ‘এ’ দলের কার্যক্রম। দেড় বছর ধরে হচ্ছে না বিদেশ সফর। জাতীয় দলের প্রয়োজনে বিকল্প ক্রিকেটার প্রস্তুত করতে শিগগিরই আবার ‘এ’ দল গঠন করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এবার ‘এ’ দলের প্রথম সফর হবে অস্ট্রেলিয়া। এমনটা জানিয়েছেন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন।
এই সিরিজটির পর আরও কয়েকটি ট্যুর আয়োজনের বন্দোবস্ত কর হবে জানান খালেদ মাহমুদ।
‘দলটির বিদেশ সফর নিয়ে অনেক প্ল্যানিং হচ্ছে। হাই পারফরম্যান্সের (এইচপি) অধীনেই ‘এ’ টিম হবে। ন্যাশনাল টিমের কিছু প্লেয়ারও আসবে। আমাদের অস্ট্রেলিয়া ট্যুর আছে জুলাইয়ে। আরও কয়েকটি ট্যুর আয়োজনের চেষ্টা চলছে। আমরা চাই ‘এ’ টিমকে সবসময়ই খেলাতে। কিন্তু যাদের সাথে খেলাব তারা হয়ত ফ্রি থাকে না বা তাদের ব্যস্ততার কারণে আমরা খেলতে পারি না।’
ঘরোয়া ক্রিকেট ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মাঝে আকাশ-পাতাল ব্যবধান দেখেন খালেদ মাহমুদ। তার মতে, ‘এ’ দলের হয়ে বিদেশি দলের সঙ্গে খেলে প্রস্তুত থাকা ক্রিকেটারই জাতীয় দলের কারও আদর্শ রিপ্লেসমেন্ট হতে পারে।
‘হঠাৎ করে রিপ্লেসমেন্ট প্রয়োজন হলে ফিলআপ করতে পারে।। আন্তর্জাতিক আর ঘরোয়া ক্রিকেট আকাশ-পাতাল ব্যবধান। কেউ যদি ঘরোয়া লিগে ৬০০ রানও করে আন্তর্জাতিক ম্যাচে তার রান করা কঠিন হবে। এই ভুলটা আমরা সবসময়ই করি। এই ব্যবধানটা কমিয়ে আনার জন্য ‘এ’ টিম দরকার। ন্যাশনাল টিম আর লোকাল ক্রিকেট আলাদা।’
জুনে শুরু হচ্ছে ২৪ তরুণ ক্রিকেটারকে নিয়ে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ক্যাম্প। ‘এ’ দল গঠনে এখান থেকেই আসবে বেশি সংখ্যক ক্রিকেটার। জাতীয় দলের ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে বাদ পড়া ও ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করা কিছু ক্রিকেটারদের নিয়ে গঠিত হবে ‘এ’ দল।