ফটোসাংবাদিক জিয়াউল ইসলামকে গাড়ি চাপা দেয়াটা দুর্ঘটনা নয় বরং ইচ্ছাকৃতভাবে এধরণের ঘটনায় আঘাত দেয়াকে ‘ক্রাশ’ হিসেবে তুলে ধরে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন প্রবাসী লেখক আশা নাজনীন।
তাই মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো এবং পালানো ব্যক্তির প্রতি সমবেদনা,সপক্ষে কথা বলার সমালোচনা করে ফেসবুকে তিনি লিখেছেন,
‘সেদিন আমি সিডনী যাচ্ছিলাম, হাইওয়েতে একটা ক্যাঙ্গারু এসে পড়ল।
দ্রুত ব্রেক করলাম| অল্পের জন্য গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছটকে পড়ি নি। যদি পড়তাম এটি হত তখন Accident ।
আর Crash হচ্ছে এক গাড়িতে আরেক গাড়ির ধাক্কা কিংবা কোনরকমের আঘাত করা । অর্থাৎ একজন চালকের দোষে আরেক চালক বা তার যাত্রীরা কিংবা তার বাহন যে ক্ষতির শিকার হয়, তাকে বলা হয় ক্রাশ।
মোদ্দা কথা, রাস্তার নিয়ম না মানা, মদ খেয়ে বা ফান করে অন্য গাড়িকে ধাক্কা দেওয়া, সিগন্যালে না থামা এইগুলার ফলে যে (দু)র্ঘটনা ঘটে তা হচ্ছে ক্রাশ।
Accident আর Crash দুইটা আলাদা শব্দ, আলাদা অর্থ।
কিন্তু এই দুইটাকে গুলিয়ে ফেলে কল্যাণ নামের মদ্যপকে অনেকেই ভুলবশত শেল্টার দিচ্ছেন। এক্সিডেন্ট হচ্ছে দুর্ঘটনা যেটা ‘আনএভয়েডেবল’ ।
জিয়াউল ভাই’র ঘটনাটা হচ্ছে ‘ক্রাশ’, এক্সিডেন্ট না। আর একটা মাতাল যখন একজনকে মধ্যরাতে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়, তখনি তার বিবেক এর লেভেল আমাদের বুঝে যাওয়ার কথা।
সেই মাতাল বিবেকের তাড়নায় কিছুতেই হাসপাতাল যায় নি, সে গিয়েছে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে।
রোগী যদি মরে যায়, তবে কাল সকালেই পাশের দেশে পালিয়ে চলে যেতে হবে তো!ব্যাগ গুছানো লাগবে কি না আজ রাতেই, তা একটু নিজের চোখে দেখতে এসেছিল আর কী!
কিন্তু আধা মাতাল যখন টের পেল, না রোগী বেঁচে যাবে, তখন আবেগে মুখ খুলে ফেলেছে ।
এবং পালানোর আগেই চোর ধরা পড়ে যাওয়াতে অনেকের কাছে ‘মহৎ’ হয়ে উঠেছে’।