চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

জিয়াউর রহমান শুধু একজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন: কৃষিমন্ত্রী

জিয়াউর রহমানের পরিচয়, তিনি শুধু একজন সেক্টরস কমান্ডার ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। কৃষিমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি ক্ষুদ্র জায়গায় রয়েছেন। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেছিলেন। এটি ইতিহাসে সেভাবেই থাকবে। তিনি যুদ্ধের নির্দেশক, পরিচালক কিছুই ছিলেন না। একজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। এইটুকুই তার পরিচয়। ইতিহাসের মূল নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

সোমবার বিকেলে টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কেন্দ্রে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের ঘোষণা দেন। পরদিন ২৭ মার্চ পিটিআইয়ের রেফারেন্স দিয়ে ‘শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন’ সংবাদটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে গুরুত্বের সাথে প্রচার হয়। একটি ঘোষণাপত্র পাঠের জন্য তো ইতিহাস পাল্টে যেতে পারে না। জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের নেতাদের অনুরোধে স্বাধীনতাপত্রটি প্রথমে নিজের নামে, পরে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে পাঠ করেন। তখন সবাই মনে করেছিলেন, যুদ্ধে যাচ্ছি একজন সামরিক বাহিনীর লোক দিয়ে ঘোষণাপত্রটি পাঠ করালে গুরুত্ব বাড়বে। এজন্য কৌশলগত কারণে তাকে দিয়ে ঘোষণাপত্রটি পাঠ করানো হয়। যতোই বলা হোক ইতিহাসে স্বাধীনতার ঘোষক বা মূল নেতা হিসেবে তিনি স্থান পাবেন না।

তিনি আরো বলেন, যারা পাকিস্তানে উচ্ছিষ্টভোগী ছিলো, পাচাটা কুকুর ছিলো, যারা পাকিস্তানের সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে, তারাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করতে চায়। কিন্তু সত্য উদঘাটন হয়েছে। আমাদের এ প্রজন্মও এখন মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানে।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, পরবর্তীকালে ৫৪ সালের নির্বাচন, ৬২ সালের স্বৈরাচারী আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬ সালে স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধিকার আন্দোলনের মাধ্যমে ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচন ও ৭১’র মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক, জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি, টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের এমপি আলহাজ ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের এমপি আতাউর রহমান খান, টাঙ্গাইল-২( ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের এমপি তানভীর হাসান ছোট মনির, টাঙ্গাইল-৪(কালিহাতী) আসনের এমপি মো. হাছান ইমাম সোহেল হাজারী, টাঙ্গাইল-৬(দেলদুয়ার-নাগরপুর) আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি মমতা হেনা লাভলী, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী নুসরাত এদীব লুনা , পৌর মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর ,ওয়ালটন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এস এস নুরুল আলম রেজভী, নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহিদ হাসান প্রমুখ।