সিলেট থেকে: টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং করা এমনিতেই কঠিন। সিলেটের ঘূর্ণি উইকেটে তা আরও কঠিন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লক্ষ্যটা যখন ৩২১ রানের, তখন আশাবাদী মানুষ খুব বেশি পাওয়া যাবে না এমনটাই স্বাভাবিক। আশার নিভু নিভু বাতিটা যদি ব্যাটসম্যানরা জ্বালাতে পারেন তবে সেটি উঠে যাবে নিজেদের রেকর্ডের পাতায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: জিম্বাবুয়ে-২৮২ ও ১৮১, বাংলাদেশ-১৪৩
১৩৯ রানে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকা জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংস থেমেছে ১৮১-তে। বাংলাদেশের লক্ষ্যটা তাই চূড়ায়। আড়াইশর কাছাকাছি রান তাড়া করে টেস্ট জয়ের রেকর্ড নেই বাংলাদেশের। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তাদের দ্বিতীয় সারির দলের বিপক্ষে ২১৫ রান তাড়া করে ৪ উইকেটে পাওয়া জয়ই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা।
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়েকে হারাতে হলে তাই লিখতে হবে নিজেদের নতুন রেকর্ডই। আগের দিন ৬ উইকেট শিকার করে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়া তাইজুল ইসলামের কথাতে অবশ্য স্বপ্ন দেখা যেতেই পারে।
‘আসলে টেস্ট ক্রিকেটটা রেকর্ডের খেলা। রেকর্ড কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটেই বেশি হয়। আমরাও তাই চাচ্ছি, আমাদের দল এমন কোনো রেকর্ডই করুক।’
প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে নেয়া তাইজুল দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৫ উইকেট। ম্যাচে প্রথমবারের মতো শিকার করেন ১০ উইকেট। মেহেদী হাসান মিরাজ তিনটি ও নাজমুল ইসলাম অপু নেন দুটি উইকেট। তিন স্পিনার মিলেই ফেলেছেন প্রতিপক্ষের দশটি উইকেট।
জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ৪৮, সিকান্দার রাজা ২৫, ব্রেন্ডল টেলর ২৪, চাকাভা ও উইলয়ামস করেন সমান ২০ রান।
ম্যাচের প্রথম দিন জিম্বাবুয়ে তুলেছিল ৫ উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রান। দ্বিতীয় দিনের সকালে জিম্বাবুয়ে আর ৪৬ রান তুলেই গুটিয়ে যায়, ২৮২-তে। পরে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে গুঁটিয়ে যায় মাত্র ১৪৩ রানে।
দুই দলের ১৫ উইকেট পড়ে একদিনেই। তৃতীয় দিনের দুই সেশনে জিম্বাবুয়ের পড়েছে ১০ উইকেট। দিনের খেলা আর দেড় ঘণ্টা বাকি। উইকেটহীন কাটিয়ে দিতে পারলে অন্যরকম কিছু অপেক্ষা করতে পারে চতুর্থ দিনে।