২০১৪-১৫ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৬ দশমিক ৫৫ এবং মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৩’শ ১৬ মার্কিন ডলার। প্রাথমিকভাবে মাথাপিছু আয় ধরা হয়েছিলো ১ হাজার ৩’শ ১৪ মার্কিন ডলার। পরিসংখ্যান ব্যুরোর চূড়ান্ত হিসাব থেকে এসব তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ।
মঙ্গলবার ঢাকার শেরে বাংলানগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই পরিসংখ্যান ব্যুরোর হালনাগাদ এসব তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘পরিসংখ্যান ব্যুরো নয় মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে বলেছিলো প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৫১। ব্যুরোর কাছে চূড়ান্ত হিসাব চাওয়া হয়েছিলো।পরিসংখ্যান ব্যুরোর চূড়ান্ত হিসাবে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ।’
জিডিপি বাড়ায় মাথাপিছু আয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রবৃদ্ধির সঙ্গে মাথাপিছু আয় সম্পৃক্ত। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জন্য মাথাপিছু আয় ধরা হয়েছিলো ১ হাজার ৩’শ ১৪ ডলার। কিন্তু পরিসংখ্যান ব্যুরোর চূড়ান্ত হিসাবে দেখা যাচ্ছে মাথাপিছু আয় হয়েছে ১ হাজার ৩’শ ১৬ মার্কিন ডলার।’
শুধু জিডিপি এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি ছাড়াও মুদ্রাস্ফীতিও কিছুটা কমেছে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন,‘ মুদ্রাস্ফীতি ৬ দশমিক ১০ থেকে কমে এখন ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ হয়েছে।’
অর্থনীতির সার্বিক সূচকগুলোতে উর্ধমূখী প্রবণতা বজায় থাকবে বলে আশা প্রকাশ করে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করি এই বছর উন্নয়নের সূচকগুলোর উর্ধ্বমুখী ভাব বজায় থাকবে।’
আসছে এপ্রিলে চলতি অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ কত নির্ধারিত হয়েছে তা ঘোষণা করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির আজকের বৈঠকে মোবারক পুরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কুপ খননসহ ৮টি উন্নয়ন প্রকল্পসহ ২ হাজার ৮৬৫ কোটি ৪ লাখ টাকার ৮টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেকের সভায় পানি ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্প, জাতীয় প্রাণী সম্পদ ও পোল্ট্রি ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউট স্থাপন করার প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
এই প্রকল্পগুলোর জন্য মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ হাজার ৫৩৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে পাওয়া যাবে ১ হাজার ৩২৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা।