চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

‘জিএসপি নয়, পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার চায় বাংলাদেশ’

জিএসপি সুবিধা নয়, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার চেয়েছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে বাংলাদেশে যে একশ’টি নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল হতে যাচ্ছে সেখানে একটি শুধু মাত্র যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের জন্য নির্ধারিত করে দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয়া বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ চ্যানেল আইকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে একথা জানিয়েছেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বাংলাদেশে আমরা চাই। যদিও এখন বিলিয়নের বেশি বিনিয়োগ আছে। আমাদের যে বিশেষ যে অর্থনৈতিক জোন আমরা খুঁজছি, বিভিন্ন দেশকে আমরা বিনিয়োগ দিব, আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে একটা অর্থনৈতিক জোন বরাদ্দ দিতে চাই, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীরা এখানে শিল্প কলকারখানা স্থাপন করতে পারবে।’

ওই বৈঠকে, ৭১ এ বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের ভূমিকা প্রসঙ্গ কেরি নিজেই উত্থাপন করেন। একই সঙ্গে ব্যাখ্যা করেন বর্তমান সরকারের পক্ষে তাদের দৃঢ় অবস্থানের কথাও।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘সেখানে বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি আমার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছি, বলেছি ডব্লিউটিও’র প্রথম মিনিস্টার কনফারেন্সে শুল্কমুক্ত, কোটা মুক্ত মার্কেট অ্যাকসেস দেবার কথা।সেটা পৃথিবীর বহু দেশেই বাস্তবায়ন করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনো করে নাই। আমরা খুব খুশী হব যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এটা বাস্তবায়ন করে।’

“আমাদের সবচেয়ে প্রধান অগ্রাধিকার হলো শুল্ক মুক্ত কোটা মুক্ত মার্কেট অ্যাকসেস পাওয়া। অনেকে জিএসপি নিয়ে কথা বলে, আমরা যদি শুল্ক মুক্ত কোটা মুক্ত মার্কেট অ্যাকসেস পাই তাহলে জিএসপি’র কোনো প্রয়োজন হয় না। অপরদিকে আমরা যদি টিকফা কে অর্থবহ করতে চাই তাহলে শুল্ক মুক্ত কোটা মুক্ত মার্কেট অ্যাকসেস প্রয়োজন।’

“সমগ্র বিষয়গুলো মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনোযোগ সহকারে শুনেছেন। তিনিও পজেটিভ কথা বলেছেন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করে, এদেশের পক্ষ থেকে উত্থাপিত প্রস্তাবগুলো ইতিবাচকভাবে বিবেচনারও আশ্বাস দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।”

খুব অল্প সময়ের জন্য হলেও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির বাংলাদেশ সফরকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গেই নিয়েছে সরকার। কেরির সঙ্গে যে ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে তার সুষ্ঠু বাস্তবায়নের আশা রয়েছে সরকারী মহলে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন মন্ত্রী বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রীসহ কয়েকজন সিনিয়র মন্ত্রীর সঙ্গে। প্রতিটি বৈঠকেই খুবই আন্তরিক ও খোলামেলা আলোচনা হয়েছে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে।