যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপির সুবিধা পাওয়া নিয়ে চূড়ান্ত হতাশা প্রকাশ করলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বলেছেন, শর্তপূরণে রোজ কেয়ামত পর্যন্ত চেষ্টা করলেও কোন লাভ হবে না।
চলতি অর্থবছরে রপ্তানী প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেন মন্ত্রী বলেন, জিএসপি সুবিধা না পেয়েও গার্মেন্টস শিল্প অনেক দূর এগিয়ে গেছে।
আগামী ১২ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য “বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ” নিয়ে কথা বলতে দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এম্বেসেডর পিয়েরে মায়াদনের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
প্রায় এক ঘন্টার বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ইউরোপের দেশগুলোতে তৈরি পণ্যের রপ্তানী বাড়াতে আরো কি কি পদক্ষেপ নেয়া যায় তাই নিয়ে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি গার্মেন্টস পণ্য নেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। গত তিন বছরে এদেশের গার্মেন্টস শিল্পকে ঝুঁকিমুক্ত করতে সব ব্যবস্থা নেয়া হলেও যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি সুবিধা থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে বাংলাদেশকে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন,’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলে থাকে বাংলাদেশ জিএসপি শর্তের বেলায় বেশ অগ্রগতি করেছে। এটা একটা অসার বাক্য। এটা সব সময়ই বলা হয়, বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে আরও উন্নতি করতে হবে। আসলে সেই উন্নতিটা কী? আমার মনে হয় রোজ কেয়ামত পর্যন্ত চেষ্টা করলেও আমরা তাদের শর্ত পূরণ করতে পারবো না।
বাণিজ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, কিছু শ্রমিক নামধারী নেতাদের সঙ্গে কিছু দেশের দূতাবাসের যোগাযোগ রয়েছে। তারাই মূলতঃ বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করছে।
নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে ঢাকা-যুক্তরাজ্যের কার্গো বিমান সার্ভিস বন্ধ করে দেয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। খুব শিগগিরিই এই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা দেখিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।