চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

জাহানারার আক্ষেপ, জাহানারার আশা

কক্সবাজার থেকে: দেশের শীর্ষ পর্যায়ে খেলা বেশিরভাগ ক্রিকেটারই বিভিন্ন ক্রীড়া সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। মেইল, মেসেঞ্জার কিংবা এসএমএসে চাহিদাপত্র দিলেই বিদেশি কোম্পানিগুলো থেকে চলে আসে উন্নতমানের ব্যাট। সাকিব-তামিম-মুশফিকরা সেই ব্যাটে খেলেন, সঙ্গে অর্থও কামান। সেখানে টিম টাইগ্রেস দলের মেয়েদের কাছে প্রস্তাব আসে শুধু ক্রিকেটের গিয়ার্স দেয়ার, যেখানে থাকে না ব্র্যান্ডিং করার বিনিময়ে অর্থের নিশ্চয়তা। যা নিয়ে নারী ক্রিকেটারদের মাঝে আছে হতাশা।

সাম্প্রতিক সময়ে সাফল্যের মধ্যগগণে আছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। সেই সাফল্য যাদের ব্যাট-বল হয়ে আসছে, জাহানারা আলম তাদের একজন। এ টাইগ্রেস পেসার অবশ্য বিশ্বাস করেন একদিন মেয়েদের সঙ্গেও জুড়ে যাবে ব্যক্তিগত স্পন্সর।

‘আমি মনে করি শ্রীলঙ্কার চাইতে আমাদের টিম ভালো। অথচ দেখেন তাদের প্রায় ৮০-৯০ শতাংশ ক্রিকেটার স্পন্সর পায়। ভারতে তো শতভাগ, পাকিস্তানে ৫০-৬০ শতাংশ। কিন্তু আমাদের মেয়েদের কেউই পায় না। তবে আমি আশাবাদী আমরা যেভাবে ভালো করে যাচ্ছি, এটা যদি কন্টিনিউ করে যেতে পারি, আমাদের স্পন্সর চলে আসবে। যদি আমাদের খেলা টিভিতে সম্প্রচার হতো কিংবা অনলাইনেও যদি দেখাত, তাহলে স্পন্সর খুব দ্রুতই চলে আসত।’

‘বিভিন্ন কোম্পানি আমাদের স্পোর্টস গিয়ার্স দিতে চায়। আমরা এখন যে অবস্থায় আছি তাতে এসব আমরা কিনতে পারি। আমরা চাই চুক্তি হোক ৬ মাস কিংবা এক বছরের জন্য। আমরা তো এখন অনেকটাই পেশাদার ক্রিকেটার।’ আত্মবিশ্বাসী জাহানারার প্রত্যাশা এমনই।

বিষয়টি নিয়ে টিম টাইগ্রেস দলের ইনচার্জ নাজমুল আবেদিন ফাহিম চ্যানেল আই অনলাইনকে বললেন, ‘আমরা চাইলে কয়েকজন ক্রিকেটারকে স্পন্সর এনে দিতে পারি। আমি চাই না এভাবে হোক। তারা নিজেদের যোগ্যতায় আরও উপরে উঠতে থাকুক। তখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিজেদের প্রচারের স্বার্থেই স্পন্সরশিপে চলে আসবে।’