কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো চীনে কানাডার আটক দুই নাগরিকের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনায় হতাশা প্রকাশ করেছেন।
কানাডার স্থানীয় গণমাধ্যম সিটিভি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, সরকার ১৮ মাস ধরে চীনে আটক দুই কানাডিয়ানকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থা ব্যবহার করেছেন, যারা শুক্রবার রাজনৈতিকভাবে অভিযুক্ত মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন।
জাস্টিন ট্রুডো আরো বলেন চীন প্রসিকিউটররা যে অভিযোগ প্রকাশ করেছেন, তাতে তিনি “অত্যন্ত হতাশ”, অন্যদিকে উপ-প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড এই সংবাদে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষুব্ধ বোধ করেছেন।
উল্লেখ্য আটক মাইকেল কোভরিগ হলেন সাবেক কূটনীতিক এবং মাইকেল স্পাভর হলেন একজন ব্যবসায়ী। আটকের ১৮ মাস পর সরকারিভাবে তাদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে। কোভরিগের মামলাটি বেইজিংয়ের প্রসিকিউটররা এবং স্পাভরের মামলাটি দেশটির উত্তর-পূর্ব প্রদেশের লিয়াওনিংয়ের প্রসিকিউটররা পরিচালনা করছেন।
জানা গেছে, চীনা নাগরিক মেং ওয়াংঝু গত বছরের ডিসেম্বরে কানাডায় আটক হওয়ার পর ওই দু’জনকে আটক করে চীন। মেং ওয়াংঝু আটকের পর থেকেই দেশ দু’টির মধ্যে বৈরিতা বাড়তে থাকে। তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানে মেং ওয়াংঝুকে আটক করে কানাডা।
মেং ওয়াংঝু আটক হওয়ার পর থেকেই কানাডার নিন্দা করে আসছে চীন। ওই তিন ব্যক্তির আটকের ঘটনায় চীন-কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে মেং ওয়াংঝুকে আটক করে কানাডা। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কানাডার কর্তৃপক্ষকে বার বার ‘তাদের ভুল সংশোধন’ করার এবং মেং ওয়াংঝুকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে যখন একটি টানাপোড়েনের সম্পর্ক চলছে, ঠিক তখনই গ্রেপ্তার হন মেং ওয়াংঝু। যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যার্পণ অনুরোধে ১ ডিসেম্বর কানাডার ভ্যাঙ্কুভার বিমানবন্দরে হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতার মেয়ে মেং ওয়াংঝুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইরানে প্রযুক্তি বিক্রি করার অভিযোগ করা হচ্ছে।