ঈদকে টার্গেট করে রমজান মাসে ৫ কোটি টাকার জাল নোট বাজারে ছাড়তে কাজ করছিলো সংঘবদ্ধ মুদ্রা-জালিয়াত চক্র। শুধু দেশের টাকাই নয়, চাহিদা অনুযায়ী বিদেশী মুদ্রাও বাজারজাত করে এ চক্রের সদস্যরা। চক্রটির মূল হোতাসহ ৬ জনকে আটক করার পর এমন তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
রাজধানীর মধ্য মনিপুর আদর্শ রোডের একটি ভাড়া বাসায় তল্লাসী চালিয়ে জাল নোট তৈরির কারখানার সন্ধান পায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সেখান থেকে ৬ জনকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে অর্ধ কোটি টাকার নকল মুদ্রা এবং জলছাপ দেয়া কাগজ ও নিরাপত্তা সুতাসহ জাল টাকা তৈরীর সরঞ্জাম।
সারা দেশে গড়ে তোলা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গত ৭ বছর ধরে জাল নোট বাজারে সরবরাহ করছিলো চক্রটি। আগামী রমজানে গ্রামের বিভিন্ন বাজারই তাদের টার্গেট।
ডিবি পুলিশের উপ-কমিশনার শেখ নাজমুল আলম জানান, এদের টার্গেট ছিলো ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা এবার ঈদের আগে মার্কেটে ছাড়ার। প্রতি এক লাখ জাল টাকাটা তারা দশ থেকে পনেরো হাজার টাকায় বিক্রি করে। পরবর্তী একটি গ্রুপ পনেরো থেকে বিশ হাজার টাকায় ওই টাকা বিক্রি করে দেয়।
জাল টাকা কেনা বেচা করতে গিয়ে আগে অনেকবার গ্রেফতার হলেও কারাগার থেকে বের হয়ে আবারও জাল নোট বাজারে ছাড়ার কাজে নামে তারা।
শেখ নাজমুল জানান, এই চক্রের দল নেতা শফিক আগেও দু’বার গ্রেফতার হয়েছে। সুমনও একবার গ্রেফতার হয়েছে। জেসমিন আকতার তার স্বামী অজ্ঞান পার্টির সদস্য। এরা মাঝে মাঝে ইন্ডিয়ান টাকাও (রুপি) জাল করে। অর্ডার পেলে মধ্য প্রাচ্যের কয়েকটি দেশের মুদ্রাও জাল করে তারা।
গোয়েন্দারা জানায়, রাজধানীতে আরও জাল টাকা তৈরীর কারখানা খোঁজা হচ্ছে।