চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

জাল নোট থেকে সাবধান!

ঈদ বা বড় উৎসবকে ঘিরে প্রতিবছরই সক্রিয় হয়ে উঠে জাল নোট তৈরি চক্রের ‘অপতৎপরতা’। জাল নোটের এই অবৈধ কারবারিদের হাত থেকে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে প্রতিবারের মতো এবারও উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

মানুষদের সচেতন করতে দেশের ৫৬টি বাণিজ্যিক ব্যাংককে আসল নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য-সংবলিত ভিডিওচিত্র প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নির্দেশনায় বলা হয়, বিভিন্ন উৎসবের প্রাক্কালে নোট জাল চক্রের অপতৎপরতা বেড়ে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পবিত্র রমজান উপলক্ষে নোট জাল চক্রের অপতৎপরতা প্রতিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আসল নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য-সংবলিত ভিডিওচিত্র ব্যাংকের সব শাখা এবং রাজধানীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রদর্শন করতে হবে।

রমজান মাসজুড়ে জনসমাগমস্থলে বা রাস্তার মোড়ে সন্ধ্যার পর কমপক্ষে ১ ঘণ্টা এ ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করতে হবে। ঢাকাসহ সারাদেশের ৫৬টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভিডিও প্রচারের তারিখ ও স্থান সুনির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট তারিখে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে এ ভিডিওচিত্র প্রদর্শনের উদ্যোগে নিতে বলা হয়েছে ব্যাংকগুলোকে।

সাধারণত বড় কোনো উৎসব আসলেই প্রতারকচক্র জাল নোট তৈরি করে। অধিক লাভের আশায় প্রতারণাকারীরা সাধারণত ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বেশি জাল করে থাকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসে এক হাজার টাকার মূল্যমানের ২ হাজার ৩৪৭টি জাল নোট (২৩ লাখ ৪৭ হাজার টাকা)। একই সময়ে ৫০০ টাকা মূল্যমানের ৫৬৪টি এবং ১০০ টাকা মূল্যমানের ৫৯১টি জাল নোট ধরা পড়ে। অর্থাৎ ৫০০ ও ১০০ টাকার নোট জাল হয়েছে যথাক্রমে ২ লাখ ৮২ হাজার এবং ৫৯ হাজার ১০০ টাকার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত এক হাজার টাকার মূল্যমানের ৬৮২টি জাল নোট ধরা পড়ে। অর্থাৎ ৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা জাল করা হয়েছে।

একই সময়ে ৫০০ টাকা মূল্যমানের ১২৩টি এবং ১০০ টাকা মূল্যমানের ১২টি জাল নোট ধরা পড়ে। অর্থাৎ ৫০০ ও ১০০ টাকার নোট জাল হয়েছে যথাক্রমে ৬১ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১ হাজার ২০০ টাকার।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, আইনের দুর্বলতা নিয়ে দেশে জাল নোটের বিস্তার ঘটছে। জাল নোট প্রতিরোধে অর্থদন্ড ও সর্বোচ্চ ১২ বছরের জেল বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হওয়ার বিধান রেখে একটি আইন বাস্তবায়নাধীন।

সূত্রমতে, ২০১৮ সালের জানুয়ারি-জুন পর্যন্ত জাল নোট সংক্রান্ত মামলা হয় ৮৫টি। এর আগে ২০১৭ সালে ২৮৭টি, ২০১৬ সালে ৩৪৪টি, ২০১৫ সালে ৪১০টি এবং ২০১৪ সালে ৩৬৮টি মামলা হয়।