চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

জার্মানির ভোগ্যপণ্য প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের ৫ প্রতিষ্ঠান

বিশ্বের সবচেয়ে বড় কনজিউমার গুডস বা ভোগ্যপণ্য প্রদর্শনী ‘টেনডেন্স’ এ অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের ৫টি প্রতিষ্ঠান। জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে ৩০ জুন শুরু হয়ে ৩ জুলাই শেষ হয়েছে এই প্রদর্শনী। এর আয়োজন করেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান মেসে ফ্রাঙ্কফুর্ট।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণে কনজিউমার গুডস বা ভোগ্যপণ্য যেমন পাট ব্যাগ এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক উপকরণ, সিরামিক পণ্য এবং অন্যান্য হস্তশিল্প সামগ্রী রপ্তানি হচ্ছে। যার অধিকাংশই রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপে। সেই জন্য বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো ‘টেনডেন্স’ এ অংশ নিয়েছে।

টেনডেন্স হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। যার মূলমন্ত্র হলো, লিভিং, গিভিং এবং ওয়েল বিয়িং। এতে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে আসা প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের পণ্য উপস্থাপন করার সুয়োগ পেয়েছে। ফলে ক্রেতাদের সাথে সরাসরি সম্পর্ক তৈরি করা ও নিজেদের পণ্যের মান তুলে ধরতে পেরেছে। এতে অংশ নিয়েছে পৃথিবীর ৫০টি দেশ থেকে ৯৬০ জন প্রদর্শক।

মেসে ফ্রাঙ্কফুর্ট জানায়, এবারের প্রদর্শনীর পণ্যে এনেছে একটি নতুন মাত্রা, যোগ করেছে নতুন বৈচিত্র্য ঘর সাজানোর নানা পণ্য, উপহার সামগ্রী এবং ইন্টেরিয়র ডিজাইনের নিত্যনতুন ধারণার সাথে।

প্রদর্শনীতে যেসব বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে:

বাংলাদেশ থেকে এবারের টেনডেন্সে অংশ নিয়েছে ৫ টি প্রতিষ্ঠান। এগুলো হলো- এ সিক্স, আর্টিসান, গোল্ডেন জুট প্রোডাক্টস, রেইনবো জুট মিলস এবং সান ট্রেড। এসব প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ভোক্তাদের কাছে তুলে ধরেন। তাদের প্রদর্শিত উল্লেখযোগ্য পণ্যগুলোর মধ্যে ছিলো ইন্টেরিয়র ডেকোরেটিং সামগ্রী যেমন পাটের তৈরি বাস্কেট এবং অন্যান্য পণ্য, রান্নাঘরের সামগ্রীর মধ্যে ছিল সিরামিক্স এবং পোর্সিলিনের পণ্য। এছাড়া হস্ত শিল্পজাত নানা রকমের ভোগ্যপণ্যও প্রদর্শন করা হয়।

প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে এ সিক্স বাংলাদেশের পরিচালক আফসানা তার বলেন, “টেনডেন্স আমাদের জন্য একটা অসামান্য প্ল্যাটফর্ম যা আমাদের নতুন পণ্যগুলোকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার একটা সুযোগ তৈরি করে দেয়, সেই সাথে আমরা যেমন আমাদের বর্তমান ক্রেতাদের সাথে মুখোমুখি আলোচনা করতে পারি তেমনি ভবিষ্যৎ ক্রেতাদেরও সুযোগ হয় আমাদেরকে জানার।”

আগামী টেনডেন্স অনুষ্ঠিত হবে ২০১৯ সালে।