চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

জামিনে মুক্ত জঙ্গিরা নজরদারিতে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন: জামিনে মুক্ত জঙ্গিরা নিবিড় নজরদারিতে রয়েছে। এমনকি যারা সাজা ভোগ শেষে এখন মুক্ত এবং সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে রয়েছেন আটক রয়েছেন তারাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় নজরদারির আওতায় রয়েছেন। 

সোমবার জাতীয় সংসদে সরকার দলীয় সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন: জঙ্গি দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেকগুলো সফল অভিযান চালিয়েছে। যেকোনো ধরনের জঙ্গি সংক্রান্ত বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তৎপর রয়েছে। জঙ্গি হামলা প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ দমনের সফলতা বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এ ছাড়া গোয়েন্দা নজরদারি এবং আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যে জঙ্গি আস্তানা, জঙ্গিদের অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেপ্তার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এছাড়া সরকারি দলের আরেক সাংসদ এম আবদুল লতিফের আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন: চলতি অর্থ বছরে এ পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় বিজিবি ৭২৮ কোটি ৭৫ লাখ ৪২ হাজার ৪৩৫ টাকা মূল্যের চোরালানী পণ্য ও মাদক দ্রব্য আটক করেছে। সীমান্ত এলাক দিয়ে চোরাচালান রোধে বিজিবির সার্বক্ষনিক কার্যক্রম পরিচালনা, ব্যাপক তল্লাশী এবং নজরদারি বৃদ্ধির ফলে এটা সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরও বলেন: এসব চোরাচালানের সাথে জড়িত ২ হাজার ১৯৩ জনকে আটক করে মামলা দায়েরর মাধ্যমে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন: বিজিবি চিহ্নিত ও তালিকাভূক্ত চোরাকারবারীদের ছবি সীমান্তের বিওপিসহ বিভিন্ন স্থানে সংরক্ষণের মাধ্যমে তাদের আন্ত:সীমান্ত অতিক্রম প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।

এছাড়াও সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকা, চোরাচালানের রুট বিজিবি- বিএসএফ যৌথভাবে চিহ্নিত করে এলাকসমূহে বিজিবির জনবল বৃদ্ধি, টহল তৎপরতা জোরদার, ২৪ ঘণ্টা ডিউটি পোস্ট তৈরি করা হয়েছে। এরবাইরে বিজিবি-বিএসএফ দিন-রাত যৌথ সমন্বিত টহল পরিচালনা করছে।