চব্বিশ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে বিএনপি-জামায়াতের কমপক্ষে ২৫ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের দুটি এলাকা থেকে লেবার পার্টির কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ছাড়াও বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠন এবং লেবার পার্টির ৯ কর্মীকে পুলিশ আটক করে।
পুলিশ জানিয়েছে, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে লেবার পার্টির অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসায় তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তখন তিনজনকে আটক করা হয়।
আলোচনা সভা শেষ করে অনুষ্ঠানের অতিথি, বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বের হওয়ার সময় নেতা-কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। সেসময় লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ইরানসহ কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
পরে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে রিজভীসহ অন্যরা নাসিমন ভবনে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিতে গেলে পুলিশ সেখান থেকে তিনজনকে ধরে নিয়ে যায়।
পুলিশ বলেছে, ওই এলাকায় মিছিল সমাবেশ করার অনুমতি ছিল না।
এদিকে, বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে বিক্ষোভের সময় ছাত্রদলের আট নেতাকে পুলিশ আটক করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর দৈনিক বাংলা ও পল্টন এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ছাত্রদল। সেসময় তাদের আট নেতাকে আটক করা হয়।
এর আগে, সোমবার রাতে উত্তরায় ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ গোপন বৈঠক করার সময় জামায়াতে ইসলামীর আমির মকবুল হোসেন ও নায়েবে আমির গোলাম সরোয়ারসহ নয় নেতাকে আটক করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গোপন সংবাদে ওই অভিযান চালানো হয়। তারা নাশকতার পরিকল্পনা করছিল পুলিশ জানিয়েছে।