জামালপুরের টমেটোর ভরা মৌসুমে কাঙ্খিত দাম পাচ্ছেন না চরাঞ্চলের টমেটো চাষীরা। চরাঞ্চলের চাষীরা জানান, দূর দূরান্ত থেকে পাইকাররা আসতে না পারায় উৎপাদিত টমেটো বাজারজাত করতে পারছেন না তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জামালপুর জেলার মেলান্দহ, ইসলামপুর, সরিষাবাড়ি, বকশীগঞ্জ ও সদর উপজেলার ভাটিগজারিয়া, টিকরাকান্দি, বালুরচর, ডোহাতলা ও কাদিয়ারচরের চরাঞ্চলে উন্নতজাতের টমেটো চাষ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই ক্ষেত থেকে টমেটো তোলা শুরু হয়েছে। টমেটোয় ভরে উঠেছে চাষীর বাড়ির আঙ্গিনা।
ক্ষেত থেকে টমেটো তোলার পর পাইকারের দেখা না পাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছে চাষীরা। জামালপুরের এক টমেটো চাষী জানায়, একটা জমিতে যে পরিমাণ খরচ হয়েছে সে পরিমাণ খরচের টাকা উঠবে না।
পাইকারদের কাছ থেকে জানা গেছে, চরাঞ্চলের রাস্তাঘাটের অবস্থা ভালো না হওয়ায় চাহিদা থাকা সত্বেও এ অঞ্চলের টমেটো অন্য অঞ্চলে সরবরাহ করতে পারছেননা। স্থানীয় বাজারে প্রতি মণ টমেটো তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এক পাইকার বলেন, এখানকার রাস্তা দিয়ে আমরা বড় গাড়ি ঢুকাতে পারিনা। বড় গাড়ি আনতে গেলেই আমাদের রাস্তার সমস্যার কারণে ক্ষতিতে পড়তে হয়। কিছু দিন আগে একটি বড় গাড়ি রাস্তায় পালটি খেয়ে পড়ে যায় এতে অনেক টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে।
জামালপুরের কৃষি বিভাগ জানিয়েছেন, চরাঞ্চলে উৎপাদিত সবজি বাজারজাত করতে সব ধরণের ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। জামালপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ অঞ্চলের চরাঞ্চলের সাথে জেলা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন ভালো নয়। তবে আশার কথা যে, সরকার ইতিমধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এ বছর জেলায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।