জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নে চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ না করতে আহ্বান জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ জাবি শাখা ।
পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান আন্দোলনের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের সচেতন ও দায়িত্বশীল ভূমিকা করার আহ্বান জানান শিক্ষক সংগঠনটির নেতারা।
শনিবার সন্ধ্যায় ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ এর পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেস বিবৃতিতে শিক্ষার্থীদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি থাকার এসব আহ্বান জানানো হয়।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশ রক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের এক অংশের আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে মোড় ঘুরিয়ে শিক্ষকদের কেউ কেউ এক সময়ের পতিত উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির এবং বর্তমান প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আমির হোসেনের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার ভুল পথে অগ্রসর হচ্ছেন। ক্ষমতার জন্য কাতর এই শিক্ষকদের এজেন্ডা হচ্ছে বর্তমান উপাচার্যকে সরিয়ে নিজেদের এ পদে আসীন করা। আমরা শিক্ষার্থীদের এ ব্যাপারে সচেতন ও দায়িত্বশীল ভূমিকা আশা করছি।
বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা আরও লক্ষ্য করছি যে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এক অংশের সঙ্গে প্রশাসনের প্রাথমিক বৈঠক যখন সফল হয় তখনই তা ব্যর্থ করে দেয়ার জন্য পদচ্যুত উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির এবং বর্তমান প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আমির হোসেন একটি ছাত্র সংগঠনের কয়েকজন নেতাকে ব্যবহার করে ষড়যন্ত্রমূলক ফোনালাপের সংলাপ তৈরি করেন। এই ফোনালাপে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে কাল্পনিক দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়।
ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন উপাচার্যকে পরীক্ষা কেন্দ্রে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার ব্যাপারে বিবৃতিতে বলা হয়, উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে ভর্তি পরীক্ষা পরিদর্শনে বাধা প্রদান কিংবা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার কোনো এখতিয়ার কারো নেই। এ ধরনের কাজ শিষ্টাচার বহির্ভূত এবং অগ্রহণযোগ্য।
বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের ব্যাপারে উপাচার্যের কোনো এখতিয়ার নেই উল্লেখ্য করে বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির দুই দফার সুষ্ঠু সমাধান এবং বিচার বিভাগীয় তদন্তের বিষয়ে আইনি পরামর্শকের মতানুসারে-উপাচার্যের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত তিনি নিজে করতে পারেন না। এ অবস্থায়- একজন বা একাধিক ব্যক্তির উপাচার্য হওয়ার বাসনা অথবা কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থ উদ্ধারের জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হতে দেয়া যায় না। এ বিষয়ে আমরা ভর্তি পরীক্ষাসহ শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করি।