চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

পাখিমেলা থেকে পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষায় সচেতন হওয়ার আহ্বান

‘পাখ-পাখালি দেশের রত্ন, আসুন করি সবাই যত্ন’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পাখিমেলা-২০১৭’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ ও ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে এ মেলার আয়োজন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০ টায় বেলুন উড়িয়ে পাখি মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবুল খায়ের।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইনাম আল হক, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, আইইউসিএনের বাংলাদেশ প্রতনিধি ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ বন বিভাগের সিএফ অসিত রঞ্জন পাল, ডব্লিউআরসির প্রতিষ্ঠাতা মো. মোস্তফা ফিরোজ, অধ্যাপক সাজেদা বেগম ও মেলার আহবায়ক অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষায় সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আবুল খায়ের বলেন, ‘বন্যপ্রাণী, পশু-পাখি আমাদের পরিবেশ ও প্রকৃতিকে রক্ষা করছে। এজন্য পরিবেশকে বাচাঁতে পশু-পাখিকে ভালোবাসতে হবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মনোয়ার হোসেন। মেলার উদ্বোধন শেষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে মেলা প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।

মেলায় দেশে নতুন প্রজাতির পাখি সনাক্ত করায় মিজানুর রহমান মিঠু, সালাহ উদ্দিন জাহিদ ও নাজমুল হুসাইন নিশাদকে ‘বিগবার্ড অব দ্য ইয়ার’ সম্মাননা দেয়া হয়।

এদিকে পাখির কিচির-মিচির ও গুঞ্জন শুনতে সারাদেশের পাখিপ্রেমিরা সকাল থেকেই সকাল থেকেই ভিড় জমাতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জলাশয়গুলোতে। দর্শনার্থীরা জলাশয়ের পাশে দাঁড়িয়ে দিনব্যাপী পাখিদের ডানা মেলে আকাশে ওড়াউড়ি, সাঁতার কাটা উপভোগ করে। এসময় কিছুক্ষণ পরপর পাখিরাও এক লেক থেকে আরেক লেকে ওড়াউড়ি করে দর্শনার্থীদের আনন্দ দেয়।

দিনব্যাপী এই মেলায় পাখির আলোকচিত্র ও পত্র পত্রিকা প্রদর্শনী, টেলিস্কোপে শিশু-কিশোরদের পাখি পর্যবেক্ষণ, শিশু-কিশোরদের জন্য পাখির ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় পাখি চেনা ও পাখি বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

পাখি সংরক্ষণে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম পাখি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে পাখিমেলা অয়োজন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ।