চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অধিকতর উন্নয়নের নামে অপরিকল্পনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের টাকায় দুর্নীতির অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্তসহ ৩ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে আন্দোলনকারীরা।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করে তারা। অবরোধ চলবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।

এ সময় ভবনে প্রবেশের সবগুলো ফটক বন্ধ করে দেয় অবরোধকারীরা। এর ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভবনে প্রবেশ করতে না পেরে বাইরে অপেক্ষা করছে।

অবরোধে কয়েকজন শিক্ষকসহ জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের জাবি শাখার নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছে।

প্রশাসনিক ভবন অবরোধের বিষয়ে জাবি সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আশিকুর রহমান বলেন: প্রশাসন অপরিকল্পিত মাস্টারপ্ল্যান বন্ধ না করে এবং দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে না দেখে স্বৈরাচারি মনোভাব পোষণ করছে। শিক্ষার্থীদের দাবি উপেক্ষা করে প্রশাসন স্বেচ্ছাচারিতা করছে। আমাদের তিন দফা দাবি মানার জন্য প্রশাসনকে যে সময় দেওয়া হয়েছে, তারা সেই সময়ে আমাদের দাবি মানেনি। এরই প্রেক্ষিতে আমাদের পূর্ব ঘোষিত প্রশাসনিক ভবন অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দিদার বলেন: তিন দিনব্যাপি কর্মসূচি চলাকালে তাদের দাবি মেনে না নেয়া হলে তারা আলোচনা করে নতুন কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্বান্ত নেবে।

দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন: তিনটি ছাত্রহলের জন্য এমন স্থান নির্বাচন করতে হবে যেখানে গাছ কম কাটা পড়বে। আর অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা ছাত্রলীগের মধ্যে ভাগাভাগির যে অভিযোগ এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা মিথ্যা দাবি করছে। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে কোনও উচ্চতর কমিটির মাধ্যমে এই অভিযোগের তদন্ত হতে হবে। সেটা বিচার বিভাগীয় তদন্ত কিংবা ইউজিসির তদন্ত হতে পারে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত ৩ দফা দাবি:
১) মেগাপ্রজেক্টের টাকার দুর্নীতির ব্যাপারে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। টেন্ডারের শিডিউল ছিনতাইকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। নির্মাণ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে সকল ব্যয়ের হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে।

২) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের পাশের তিনটি হল স্থানান্তর করে নতুন জায়গায় দ্রুত কাজ শুরু করতে হবে।

৩) মেগাপ্রজেক্টের বাকি ১৭ টি স্থাপনার কাজ স্থগিত রেখে সকল স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে মাস্টারপ্ল্যান পুনর্বিন্যাস করে কাজ শুরু করতে হবে।