জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু-আদর্শের শিক্ষক পরিষদ’র আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. নুরুল আলমকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত শুভারম্ভ অনুষ্ঠানে এ কমিটি ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম।
কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক বশির আহমেদকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এছাড়াও অধ্যাপক মো. ফরহাদ হোসেন, অধ্যাপক মো. আবদুল মান্নান চৌধুরী, অধ্যাপক মুহম্মদ হানিফ আলীকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে।
সংগঠনটির উপদেষ্টামণ্ডলীর দায়িত্বে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম, অধ্যাপক এম এ মতিন, অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন ও অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক।
দুপুরে শুভারম্ভ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মধ্যে মানুষ ও মানবিকতার সবকিছু পাওয়া যায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মানবিক মূল্যবোধ, মুক্তবুদ্ধি ও চিন্তার স্বাধীনতা, সমাজ উন্নয়ন, আধুনিক ও প্রগতিশীলতা সবকিছুতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিহিত।
উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিজের স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জাতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করেন তাদের গণতান্ত্রিক এবং সহনশীল হতে হবে।
এসময় বঙ্গবন্ধু-আদর্শের শিক্ষক পরিষদের সদস্যদের বিশ্ববিদ্যালয়কে উচ্চ মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে চিন্তা করারও আহ্বান জানান উপাচার্য।
নতুন মেয়াদে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বিভ্রান্তসৃষ্টিকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশে মাহমান্য রাষ্ট্রপতি আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন। যারা এসব নিয়ে বিভ্রান্ত করেন, তাদেরকে এর ঐতিহাসিক দায় নিতে হবে।
এসময় উপাচার্য বঙ্গবন্ধু-আদর্শের শিক্ষক পরিষদের সদস্যদের বিশ্ববিদ্যালয়কে উচ্চ মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে চিন্তা করার আহ্বান জানান। উপাচার্য তাঁর ভাষণে এ শিক্ষক সংগঠন গঠনের নেপথ্য কারণ তুলে ধরেন।
আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক বশির আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হক, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. এ.টি.এম আতিকুর রহমান প্রমুখ।
এসময় বিভিন্ন অনুষদ ডিন ও বিভাগের সভাপতিমণ্ডলীসহ দেড় শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।