জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও এবং শহীদ রফিক জব্বার হলের মাঝখানের দোকানে খেতে বসে ছাত্রলীগের দুই জুনিয়র কর্মীর সঙ্গে মারপিটে জড়িয়ে পড়েন এক ছাত্রলীগ নেতা। পরে এ মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল এবং শহীদ রফিক জব্বার হলের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
ঘটনায় জুনিয়রদের মারধরের শিকার সাদ্দাম হোসেন (দর্শন, ৩৯তম ব্যাচ) বিশ্বকবি রবীদ্রনাথ ঠাকুর হলের সাবেক শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এ ব্যাপারে জুনিয়র দুই শিক্ষার্থীর বিচারের দাবি করে সাদ্দাম হোসেন প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ঘটনায় জড়িত দুই জুনিয়র ছাত্রলীগকর্মী হলেন ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন এবং অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তানভির হোসেন। উভয়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক জব্বার হলের দ্বিতীয় বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন শহীদ রফিক জব্বার হল ও বিশ্বকবি রবীদ্রনাথ ঠাকুর হলের মাঝখানে অবস্থিত একটি দোকানে বসে খাবার খাচ্ছিলেন। এমন সময় ইমরান তাকে সরিয়ে বসতে চাইলে সাদ্দাম তাকে ধমক দেয়। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সাদ্দাম হোসেনের সাথে তাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পরে সাদ্দাম হোসেনের দুই অনুসারী আর-রাফি (জেনেটিক ইঞ্জিয়ারিং, ৪৩তম ব্যাচ) ও সাইফুল্লাহ (ইংরজি, ৪৩ তম ব্যাচ) ওই দুই কর্মীকে মারধর করে। পরে এ নিয়ে দুই হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
দুই হলের মধ্যে সংঘর্ষের উপক্রম হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যবৃন্দ ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সহযোগিতায় ছাত্রলীগের ওই দুই কর্মীকে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলন, ‘সামান্য ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে কয়েকজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দুই জুনিয়রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করবো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিকদার মো. জুলকারনাইন বলেন, ‘ছাত্রলীগের এক নেতার সাথে জুনিয়রদের মারামারির ঘটনায় ক্যাম্পাস উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। নিরাপত্তার স্বার্থে এবং অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দুই জুনিয়রকে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছি।’