জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারসহ চার দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সোমবার দিনব্যাপী প্রশাসনিক ভবন অবরোধ কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা একাধিকবার আলোচনায় বসলেও কোন সমাধান না আসায় শিক্ষার্থীরা লাগাতার অবরোধের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন।
এদিকে সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম তার কার্যালয়ে প্রবেশ করতে এসে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে পড়েন। এরপর আলোচনার জন্য তিনি রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিকের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন এবং প্রশাসনিক ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
এসময় দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না হলে কক্ষ থেকে তারা বের হতে পারবেন না বলে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদককে জানিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। এর মধ্যে শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধিরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, মামলা একটি আইনি প্রক্রিয়া। এটি আইনিগতভাবে মোকাবেলা করতে হবে। এখানে আমাদের কোন হাত নেই। তারা নির্দোষ হলে অবশ্যই মুক্তি পাবে।সঙ্কট সমাধানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমাধানের জন্য আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক সুস্মিতা মরিয়ম বলেন, মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সকাল থেকে আমরা প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রেখেছি। শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। শিক্ষকদের আশ্বাসে কোন প্রকার সমাধান না আসায় আমরা আমাদের অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। দাবি আদায় না হলে প্রয়োজনে আরো কঠিন আন্দোলনে যাবে শিক্ষার্থীরা।
এর আগে ‘প্রতিবাদের নাম জাহাঙ্গীরনগর’ এর ব্যানারে চার দফা দাবিতে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন অবরোধ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মামলা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত এ অবরোধ চলবে বলে জানিয়েছেন অন্দোলরত শিক্ষর্থীরা। এতে উপাচার্য সহ কর্মকর্তারা কার্যালয়ে প্রবেশ করতে না পারায় সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ মে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় মহাসড়ক অবরোধ ও উপাচার্যের বাস-ভবন ভাঙচুরের অভিযোগে ৫৬ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।