রংপুরে জাপানি নাগরিক হোসি কোনিও হত্যাকাণ্ডে বিজয় সরাসরি অংশ নেয় বলে জানিয়েছে এলিট ফোর্স র্যাব।
১৯ অক্টোবর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া ক্যাম্পের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে শাজাহানপুর থানাধীন ডেমাজানী ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের ভোলাবাড়ি স্ট্যান্ড বাজারে তার নিজ দর্জি দোকান থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত একজন জেএমবি সদস্য বিজয় ওরফে মোঃ মোহাদ্দেছ আলী ওরফে দর্জিকে (৩৬) গ্রেফতার করে।
র্যাব সদর দফতরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান চ্যানেল আই অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন: জঙ্গি রাজীব গান্ধি বিজয়কে অস্ত্র দিয়ে পিস্তল লোড, আনলোড এবং গুলি করার প্রশিক্ষণ দেয়। অস্ত্র প্রশিক্ষণ শেষে তাকে রংপুরের কাউনিয়ায় জাপানী নাগরিক হোসি কোনিও’কে হত্যার জন্য নির্বাচন করা হয়। পরে ২০১৫ সালের ০৩ অক্টোবর সকালে বাইক হাসানের মোটর সাইকেলে সে মাঝখানে ও রফিক পিছনে বসে রংপুর সাতমাথায় যায়, তারা মোটর সাইকেল যোগে কাউনিয়া আলুটারি কাঁচা রাস্তায় পৌছিয়ে অস্ত্র লোড করে অপেক্ষা করতে থাকে। বাইক হাসান হোন্ডা ষ্ট্যান্ড করে পাকা রাস্তায় দাঁড়ায়।
আনুমানিক সকাল সাড়ে নয়টায় হোসি কোনিও রিক্সায় আসতে নিলে, রফিক রাস্তার মাঝখানে রিক্সার সামনে দাড়িয়ে হোসি কোনিওকে ইশারা দিলে রিক্সাওয়ালা রিক্সা থামিয়ে দেয়, সঙ্গে সঙ্গে গুলি বর্ষণ শুরু করলে জাপানী নাগরিক হোসি কোনিও মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তারা পাকা রাস্তায় গিয়ে বাইক হাসানের হোন্ডাই উঠে পালিয়ে যায়। বাইক হাসান তাদেরকে যার যার মত চলে যেতে বলে সে নিজ বাড়িতে চলে যায়। এই ঘটনার পর সে আর কারো সাথে যোগাযোগ করে নাই।
র্যাব জানায়, প্রথমে বিজয়কে একটি শিয়া মসজিদে আক্রমণ করার জন্য নির্বাচন করা হয়। এ বিষয়ে সে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, বগুড়াতে প্রাথমিক পরিচয় পর্ব শেষে এর আনুমানিক ১৫/২০ দিন পরে জঙ্গি রাজীব গান্ধি মোবাইল করে রংপুর শাপলা চত্তরে যেতে বলে। তখন সে শাপলা চত্তরে যায়, সেখান থেকে তাকে একটি টিনসেডের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে রফিক, শফিক, বাইক হাসান ও রাহুল‘কে দেখতে পায়।
সেখানে তাকে সাংগঠনিক কোড নাম দেয় ‘বিজয়’ । ঐ বাড়িতে তখন সে চারদিন অবস্থান করে এবং রাজীব গান্ধির আদেশে রফিক, রাহুল ও বাইক হাসানের সাথে উত্তরাঞ্চলের একটি শিয়া মসজিদ হামলার পরিকল্পনা করে। পরে শিয়া মসজিদে হামলার পরিকল্পনা বাতিল হয় এবং নিজ বাড়িতে ফিরে আসে।
জিজ্ঞাসাবাদে বিজয় আরো জানায়, ২০১৫ সালে প্রতিবেশীদের সঙ্গে পারিবারিক কলহের জের ধরে তিনি বাল্যবন্ধু মোস্তাফিজ ওরফে বোমা শাকিলের (২৮) মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়ায়।