রংপুরে জাপানী নাগরিক হোসি কোনিও নিহতের ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ, র্যা বসহ সিআইডি’র বিশেষ প্রতিনিধি দল। জাপানী দূতাবাস থেকেও একটি প্রতিনিধি দল এ নিয়ে বিস্তারিত জানতে এখন অবস্থান করছে রংপুরে।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী থেকে ৫ সদস্যের সিআইডি দল রংপুরে পৌঁছেছে। এছাড়া জাপানী দূতাবাসের নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও ফরেনসিক চিকিৎসকের সমন্বয়ে ৩ সদস্যের একটি দলও রংপুরে অবস্থান করছে।
মধ্যরাত পর্যন্ত তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছে। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘর পরিদর্শন করে হোসি কোনিও’র সুরতহালের বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন। তবে এ ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি কেউই।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জাপানী নাগরিক হত্যার দায় স্বীকার করেছে আইএস জঙ্গি সংগঠন। হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রাথমিকভাবে তথ্য গোপন রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহীর সিআইডি কর্মকর্তা মোঃ এনাম আহমেদ।
তিনি বলেন, আমাদের এএসপি আছে। ওনার নেতৃত্বে আমরা এখানে এসেছি। এই বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে সব কিছু জানাবো।
শনিবার সকলে জাপানী নাগরিক হোসি কোনিও মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনায় অজ্ঞাত ৩ জনকে আসামী করে কাউনিয়া থানায় মামলা করেছে পুলিশ। ঘটনার পর পুরো নগরী গোয়েন্দা ও পুলিশী নজরদারীতে রয়েছে।