ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে লকডাউন নির্দেশনা অম্যান্য করে মাওলানা যুবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজায় লোকসমাগমের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে না পারায় সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাসুদ রানাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এর আগে একই ঘটনায় গতকাল রাতে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন টিটুকে প্রত্যাহার করা হয়।
এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সোহেল রানা চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেছন।
শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার বেড়তলা গ্রামের জামিয়া রহমানিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির নাসিরনগরের বাসিন্দা মাওলানা যুবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন উপেক্ষা করে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই বহু মানুষ এতে অংশ নেয়।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানাধীন বেড়তলাস্থ জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে গতকাল সকাল দশটায় মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল মাওলানা আল্লামা জুবায়ের আনসারী’র জানাজায় লোক সমাগমের ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ) কে সভাপতি করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন)।
কমিটিকে আগামী বুধবারের (২২ এপ্রিল) মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিজ বাসভবনে মাওলানা আনসারীর মৃত্যুর পরই এমন লোক সমাগমের বিষয়টি আঁচ করা যাচ্ছিল। কিন্তু পরিস্থিতির এমন আশঙ্কা করলেও যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় সরাইলের ওসি, সার্কেল এএসপি এবং একজন ইন্সপেক্টর (তদন্ত) প্রত্যাহার করা হয়েছে।
অন্যদিকে সরাইল উপজেলার বেড়তলা এলাকার জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা মাঠে মাওলানা আনসারীর জানাজায় জনস্রোত নামার বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, পুলিশের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু জানাজায় শরিক হওয়া থেকে মানুষকে নিভৃত করা সম্ভব হয়নি।