‘জয় বাংলা’ বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান চেয়ে করা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত তার রায়ে, ‘রাষ্ট্রীয় সকল অনুষ্ঠানে সাংবিধানিক পদাধিকারী ও সরকারি কর্মকর্তারা যাতে তাদের বক্তব্য শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উচ্চারণ করেন সে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছেন।’
এছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাসেম্বলি শেষে যাতে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উচ্চারণ করা হয় সে জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।
রায়ের এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে তার অগ্রগতি প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে আগামী তিন মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে রিটকারি আইনজীবী ড. বশির আহমেদ, আইনজীবী শফিক আহমেদ, আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরু ও আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন।
আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাসার।
জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে এর আগে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. বশির আহমেদ।
সেই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে, জয় বাংলা’কে কেন জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
এরপর এই রুলের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষসহ সিনিয়র আইনজীবীদের বক্তব্য শুনেন আদালত। অবশেষে আজ রুলটি যথাযথ ঘোষনা করে আজ রায় দেন হাইকোর্ট।
আদালত তার রায়ে বলেন: ‘শুধু দেশেই না। একাত্তরে যখন মহান মুক্তিযুদ্ধ চলে তখন দেশে ও বিদেশে একটাই স্লোগান ছিল ‘জয় বাংলা’। এছাড়া পাকিস্তানেরও কিছু কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীরা এক হয়ে ‘জয় বাংলা’ বলে স্লোগান দিয়েছে। এমনকি আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে নিয়ে গিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্মমভাবে গুলি করার আগ মুহূর্তেও এদেশের মুক্তিযোদ্ধারা ‘জয় বাংলা’ বলে স্লোগান দিয়েছে। সর্বোপরি এদেশের ধর্মনিরপেক্ষ স্লোগানেই হচ্ছে জয় বাংলা।’