চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

‘জাতীয় দল’ বলেই আবাহনী কোচের আক্ষেপ

জাতীয় দলের সঙ্গে আবাহনীর সাদৃশ্য চলে আসাটা স্বাভাবিক। ঢাকার ক্রিকেটের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি যাদের দলে ভিড়িয়েছে তাদের অধিকাংশই বর্তমান জাতীয় দলের সদস্য, বাকিরা আছেন ফেরার লড়াইয়ে। আছেন ভারতীয় রিক্রুট ওয়াসিম জাফর। মাশরাফী, রুবেল, মিঠুন, সাব্বির, সৌম্য, সাইফউদ্দিন, মিরাজদের সঙ্গে জহুরুল, সৈকত, শান্ত, অপু, সানজামুল। যেন বাংলাদেশ দলই। দেশের তারকা ক্রিকেটাররা আকাশী-নীল পতাকাতলে এলেও তারা মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের মন ভরাতে পারছেন না ।

সাত ম্যাচের ছয়টিতে জিতে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আবাহনী পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকলেও খালেদ মাহমুদের হতাশা মনমতো পারফরম্যান্স না পাওয়ায়। একটি জায়গায় অবশ্য তিনি এখনও নির্ভার থাকতে পেরেছেন। দলে চোট সমস্যা থাকায় একাদশ নির্বাচনের মধুর সমস্যা সামনে আসেনি এখনও।

‘যেইরকম দল, সেরা একাদশ দাঁড় করানোটাই মুশকিল হয়ে যায়। যদিও কয়েকজনের ইনজুরির কারণে আমি এখনো অতটা চাপে পড়িনি। যেমন মিঠুন খেলতে পারেনি, রুবেল খেলতে পারেনি, তাতে সহজ হয়ে গেছে। যখন সবাই ফিট হয়ে ফিরবে তখন কঠিন হয়ে যাবে। তবে সত্যি কথা বলতে, আবাহনী যেরকম টিম তাতে কিছুটা সন্তুষ্টি আছে। তবে আমি মনমতো পারফরম্যান্স পাইনি এখনো।’

‘সব দলই শক্তিশালী তবে আবাহনীর নামগুলো যদি দেখেন, প্রায় জাতীয় দলই বলা চলে। আমরা কিন্তু উত্তরার সাথে ছাড়া কোন ম্যাচ সহজে জিততে পারিনি। জিতেছি, কঠিন হয়েছে। তবে এটাও ভালো যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছি। শেষ ম্যাচে মাশরাফী ‍দুর্দান্ত খেলেছে, প্রায় হারা ম্যাচ জিতেছি আমরা, মাশরাফীর বোলিংয়ে। অমি (জহুরুল) আর মোসাদ্দেক (সৈকত) দারুণ ব্যাটিং করেছে। তারপরও আবাহনীর যেভাবে জেতা উচিত ওইভাবে জিততে পারিনি। টোটাল টিম পারফরম্যান্স যেটা হয়, সেটা হয়নি এখনো। আমি আশা করি ছেলেরা জ্বলে উঠবে।’

সোমবার সাভারের বিকেএসপিতে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে আবাহনীর প্রতিপক্ষ খেলাঘর সমাজ কল্যান সমিতি। ১২ পয়েন্ট নিয়ে গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা শীর্ষে থাকলেও নির্ভার থাকার সুযোগ নেই। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে আবাহনীর ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। রান রেটে এগিয়ে থাকাতেই এক নম্বরে খালেদ মাহমুদের দল। প্রিমিয়ার লিগে তিন দলের সমান প্রতিদ্বন্দিতা ক্রিকেটের জন্য ইতিবাচকভাবে দেখছেন অভিজ্ঞ এই কোচ।

‘এমন প্রতিযোগিতা থাকা তো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রাইম ব্যাংকও দারুণ টিম। রূপগঞ্জও ভালো দল। যদিও আমরা রূপগঞ্জের সাথে খেলিনি। প্রাইম ব্যাংকের সাথে আমরা একটা ম্যাচ হেরেছি। ওই ম্যাচটায় আমরা শেষটা ভালো করতে পারিনি। দুইটাই দলই দারুণ শক্তির। সবচেয়ে বড় কথা, মাঠে তারা ভালো খেলছে। একটা ভারসাম্য নিয়ে খেলছে।’

‘আপনি যদি দেখেন, আমাদের টপঅর্ডারে সৌম্য, অমি, তিনে ওয়াসিম, মোসাদ্দেক-শান্ত আছে পরে। সাব্বির আছে। মিঠুনকে আমরা মিস করছি দুই ম্যাচ ধরে, সাতে সাইফউদ্দিন, আটে মিরাজ। টপ অর্ডার, মিডলঅর্ডার যদি দেখেন, আমাদের মিডল অর্ডার সবচেয়ে সেরা, আমি মনে করি। চার থেকে আট পর্যন্ত এতগুলো ব্যাটসম্যান, ওই টিমের তো আসলে দাপট দেখিয়েই জেতা উচিত। বোলিংয়ে আমাদের দেশসেরা সব ফাস্ট বোলার-সাইফউদ্দিন, রুবেল, মাশরাফী। স্পিনে সানজামুল, অপু, মিরাজ। সত্যি কথা বলতে, প্রায় জাতীয় দলের মতোই। সেই টিমের তো আসলে আধিপত্য দেখিয়ে জেতা উচিত।’-বলেন খালেদ মাহমুদ।