চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেলেন দুই ভাই সিরাজ-পল্টু

ক্রীড়াক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ একইদিন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার গ্রহণ করেছেন আপন দুই ভাই মোজাফফর হোসেন পল্টু ও এনায়েত হোসেন সিরাজ। সংগঠক হিসেবে পল্টু ২০১৩ ও সিরাজ ২০১৪ সালের জন্য পুরস্কার লাভ করেন।

বুধবার ১১ মে সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মোজাফফর হোসেন পল্টু স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রতিষ্ঠাতাকালীন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় ক্রিকেটে তেমন সময় দিতে পারেননি।

পল্টু পঞ্চাশের দশকে শান্তিনগর ক্লাব গঠন করেন। ওয়ারী ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন। বর্তমানে তিনি ওয়ারীর উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য।

এনায়েত হোসেন সিরাজ বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একজন পরিচালক। একসময় ছিলেন ক্রিকেটার। ঘরোয়া ক্রিকেটে ৯ উইকেট নিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন।

অনেক বিলম্বে পুরস্কার পেলেও আনন্দিত সিরাজ অতীতের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কি হতে পারে। আমি খেলাধুলা করেছি ১৪ বছর। ১৫ বছর বয়সে আমি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের একাদশে খেলেছি। আমরা খেলাধুলা করে সংগঠক হয়েছি। ’

ঢাকা লিগে দলকে একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন করায় অবদান রেখেছিলেন সিরাজ। ১৯৯১ সাল থেকে বিসিবির সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। একসময় জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক ছিলেন। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের ক্রিকেট নিয়েও কাজ করেছেন। আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব সিরাজ দীর্ঘদিন ধরেই পালন করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘১৯৯৯ বিশ্বকাপের সময় আমি প্রধান নির্বাচক ছিলাম। যেবার পাকিস্তানকে হারিয়ে টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছিলাম। ফুটবল-হকি অনেক কিছুই আমরা খেলাধুলা করেছি।’

পুরস্কার পাওয়ার পরও বর্ষীয়ান এই ক্রীড়া সংগঠক থেমে যেতে নারাজ। ভবিষ্যতে রাখতে চান ক্রীড়াঙ্গনে অবদান।

‘আমার সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করব দেশে ক্রীড়াঙ্গনের যাতে আরও উজ্জ্বল হয় এবং দেশটাকে আরও সামনের দিকে নিয়ে যেতে পারি। যে দেশের ক্রীড়াঙ্গন উন্নত, সেই দেশটাই উন্নত।’

‘‘মানুষের প্রচার ও আজকের আধুনিক দুনিয়াতে পরিচিত হয় বিভিন্ন খেলাধুলার মাধ্যমে। আমাদের কিছু কিছু খেলোয়াড় অনেক ভালো করেছে। তারা বিশ্বমানের ক্রিকেটার। এই ধারাবাহিকতা যদি ধরে রাখতে পারে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, তাহলে ক্রিকেট অনেক বেশি উন্নত হবে। অধিকতর সফলতা পাবে।’’