জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০ টায় ৪৫ মিনিটে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ফজলে রাব্বী মিয়ার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, জাতীয় পার্টির নেতা জি এম কাদের, সরকারের মন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল, এমপি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, আইনজীবী ও মরহুমের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানাজা শেষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
আজ বিকাল ৩টায় গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হবে।
গত শুক্রবার নিউইয়র্কের বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। এদিকে সোমবার সকালে অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার মরদেহ দেশে পৌঁছায়।
অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালের চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে তিনি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। পঞ্চম ও সপ্তম সংসদে তিনি বিরোধীদলীয় হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সপ্তম জাতীয় সংসদে তিনি সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৯ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদে তিনি সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি, কার্য উপদেষ্টা কমিটি, কার্যপ্রণালী বিধি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেসময় তিনি প্রথমে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে এবং পরে সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। দশম সংসদ থেকে তিনি ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়াও তিনি এই সংসদে লাইব্রেরি কমিটির সভাপতি, কার্য উপদেষ্টা কমিটির সদস্য, কার্যপ্রণালী বিধি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ও পিটিশন কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সপ্তমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এসময় তিনি কার্য উপদেষ্টা কমিটি ও পিটিশন কমিটির সদস্য এবং লাইব্রেরি কমিটির সভাপতি ছিলেন।