চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

জাতীয় অগ্রগতির ধারা সুসংহত করার আহ্বান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সকারের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে
সশস্ত্র বাহিনীর প্রথাগত উন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় অগ্রগতির ধারাকে সুসংহত
করা। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত নেপালকে এক লাখ টন খাদ্য সহায়তা দিতে বাংলাদেশ
প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন তিনি।

প্রায় এক বছর পর প্রতিরক্ষা
মন্ত্রণালয়ে গিয়ে সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে সরকারের স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী
পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাধীনতার
পর যে ভবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম অফিস করেছেন সেই
ভবনটিই এখন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে
আছেন প্রধানমন্ত্রী।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জাতির জনক
নির্দেশিত ১৯৭৪ সালে প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে ফোর্সেস গোল ২০৩০
প্রণয়ন করেছেন সরকার। তিন বাহিনীর পুনর্গঠন ও আধুনকিায়নের কার্যক্রম চলছে।

প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু সম্পদের সীমাবদ্ধতা
থাকলেই যে হতাশায় ভুগতে হবে তা নয়। এই সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করতে হবে এবং
অতিক্রম করার মতো আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে। সরকার সেইভাবেই পদক্ষেপ নিয়েছেন
বলে জানান তিনি।

‘সশস্ত্র বাহিনীর জন্য বহু কাজ তারা করেছেন। সরকার
সমুদ্রসীমা অর্জন করলেও সমুদ্রে যে সম্পদ আছে তা সংগ্রহ করতে হবে। এই ৫
বছরের মধ্যে সম্পদ আরোহনের ব্যবস্থা না করলে আবার অনেক সমস্য হওয়ার সম্ভবনা
আছে। এই সম্পদ আরোহনের জন্য এখন থেকেই সবাইকে উদ্যোগ নিতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী
বলেন, বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে গিয়ে মামলা লড়তে হয়েছে
তাকে। তারপরও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন থেকে থাকবে না বলে জানান
তিনি।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ করা, দেশের
ভাবমূর্তি উজ্জল করা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা সংহত রাখার জন্য প্রতিরক্ষা
ব্যবস্থাকে উন্নত, আধুনিক ও সময়োপযোগী করে গড়ে তোলা অপরিহার্য।

ভূমিকম্প
বিধ্বস্ত নেপালকে সহযোগিতা অব্যহত রাখার কথা বলে এক লাখ টন খাদ্য সহায়তা
দিতে প্রস্তুতির কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন,
নেপালে ভূমিকম্পের পর বহু দেশ সাহায্যের কথা বলেছে। কীভাবে সাহায্য করবে তা
নিয়ে অনেক চিন্তা করছেন। বাংলাদেশ হচ্ছে এমন একটি দেশ যে এতো কিছু চিন্তা
না করে যতো রকমের সাহায্য দরকার তা তাৎক্ষণিকভাবে পাঠিয়েছে।

গতকাল
নেপালের প্রধানমন্ত্রী তার সঙ্গে কথা বলেছেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এখন
বর্ষাকাল শুরু হয়ে যাওয়ায় তাঁবুতে দিন কাটানো মানুষের জন্য অনেক কষ্ট
হচ্ছে। এখন তাদের ঘর বানিয়ে দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার টিন পাঠাতে পারে।
নেপালের যদি আরো চাল লাগে তাহলে বাংলাদেশ থেকে আরো ১ লক্ষ মেট্রিক টন চাল
পাঠাতে পারবে বলে নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছি।