সাম্প্রতিক ঘোষণার ধারাবাহিকতায় এবার ফিলিস্তিনের জন্য জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সহায়তা তহবিলে সব ধরনের অর্থ সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ।
‘ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি’কে (ইউএনআরডব্লিউএ) পররাষ্ট্র বিভাগ ‘অপরিবর্তনযোগ্যভাবে ত্রুটিপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেছে।
ইউএনআরডব্লিউএ ফিলিস্তিনে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ সেবা দিয়ে থাকে।
মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন এই ইস্যুটিকে ‘খুবই যত্নের সঙ্গে পর্যালোচনা’ করেছে এবং ইউএনআরডব্লিউএ’কে দেশটি আর কোনো অর্থ দেবে না।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিন শরণার্থী সংস্থাকে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দেয়ার মার্কিন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদাইনা বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত তার জনগণের প্রতি ‘হামলা’।
‘যুক্তরাষ্ট্রের এখন আর এই অঞ্চলে কোনো ভূমিকা নেই এবং মার্কিন প্রশাসন আর ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সমস্যার সমাধানের অংশ নয়। এ ধরনের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ কখনোই এই বাস্তবতাকে বদলাতে পারবে না,’ বলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত ‘জাতিসংঘ নীতিমারার লঙ্ঘন’ বলেও মন্তব্য করেন রুদাইনা।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) নির্বাহী কমিটির মহাসচিব সায়েব এরাকাত বলেন, আমরা ইউএনআরডব্লিউএ’কে তহবিল বন্ধ করে দেয়ার যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখান করছি এবং এর নিন্দা জানাচ্ছি।
এরাকাত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের লক্ষ্য হচ্ছে শরণার্থী সংস্থাটি বন্ধ করে দেয়া। জাতিসংঘ প্রস্তাবের ভিত্তিতে এ সংস্থাকে আর্থিক সাহায্য দেয়া হয়।
এর আগে গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনের গাজা এবং পশ্চিম তীরের জন্য বরাদ্দ ২০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি সহায়তা তহবিল বাতিল করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসনকে ফিলিস্তিন ‘শান্তিবিরোধী’ হিসেবে অভিযুক্ত করায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ওই সময় মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সহায়তা কর্মসূচি পর্যালোচনার পর ‘প্রেসিডেন্টের নির্দেশনায়’ এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তহবিলের এই অর্থ ‘যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থ অনুসারে ব্যয় নিশ্চিত করতে’ই এই বরাদ্দ বাতিলের সিদ্ধান্ত।
তিনি আরও বলেন, এর আগে এই অর্থ পশ্চিম তীর ও গাজায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল, কিন্তু এখন ‘অন্য জায়গায় আরো বেশি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে’ এই অর্থ ব্যয় হবে।